সাত কার্যদিবস পর শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে গত সপ্তাহে শেষ চার কার্যদিবস এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক কমে। সেই সঙ্গে দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। এতে টানা সাত কার্যদিবস পতন দেখতে হয় বিনিয়োগকারীদের। সাত কার্যদিবসের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৯০ পয়েন্ট কমে যায়। পাশাপাশি দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে চলে যাওয়া লেনদেন সাতশ' কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকা থেকে প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে দাম কমার তালিকা কিছুটা ছোট হওয়ার পাশাপাশি মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও কমে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৬২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৯৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।