আজকের যায়যায়দিন

পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

আগামী ২৭ ফেব্রম্নয়ারি বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৩ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৪ টাকা ৮২ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯৪ পয়সা (লোকসান)।

কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে 'জেড' ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ইউনাইটেড ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

আগামী ২৭ ফেব্রম্নয়ারি বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৬৮ পয়সা। এছাড়া এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৪৫ পয়সা।

১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে 'এ' ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে কোম্পানিটি। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৪৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই'র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৮ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩০ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

লাফার্জ হোলসিম (বাংলাদেশ) লিমিটেড

আগামী ২৯ ফেব্রম্নয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের জন্য প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে ১ টাকা ৫০ পয়সা চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর ফলে লাফার্জ হোলসিম চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার টাকা লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরণ করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশসহ কোম্পানিটি ২০২২ সালে মোট ৪৮ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা কোম্পনিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আয়কর পূর্ববর্তী পরিচালন মুনাফা ২৩ শতাংশ বেড়ে ৫৯৭ কোটি টাকা হয়েছে। নেট বিক্রি ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। এছাড়া শেয়ারপ্রতি আয় ৩.৩৪ টাকা থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা।