সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৩১তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন

চট্টগ্রাম অফিস
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
৩১তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে '৩১তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৫ ফেব্রম্নয়ারি বিকালে রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এবং গেস্ট অব অনার এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে এ সময় সিআইটিএফ-২০২৪ কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম আক্‌তার হোসেন ও সিআইটিএফ কমিটির কো-চেয়ারম্যানরা, চেম্বার পরিচালকরা মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মো. রেজাউল করিম আজাদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন এবং ওমর মুক্তাদিরসহ সাবেক পরিচালকরা, অনারারি কনসালরা, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন ট্রেডবডি নেতারা, সুশীল সমাজ, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেন, 'সরকার দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেমন মুনাফা করবে, তেমনি ভোক্তাদেরও সক্ষমতা থাকতে হবে। কিন্তু অতি মুনাফার কারণে ভোক্তারা যেন নাভিশ্বাসে না পড়ে তা দেখতে হবে।'

মেলার উদ্বোধক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরকে হস্তশিল্প বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমরা প্রতিটি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও খাদ্য তুলে এনে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করব। যাতে বিশ্ববাজারে আমরা এসব হস্তশিল্প রপ্তানি করতে পারি। এ লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে হস্তশিল্পের জন্য পরিচিতি করানো হবে।'

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ ম্যাজিক অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে বলে বিশেষ অতিথি এম এ লতিফ এমপি বলেন, 'স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে রপ্তানি পণ্য ছিল মাত্র ৪৩টি। বর্তমানে সাড়ে ৪ হাজার আইটেম রয়েছে আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে। শুধু বিদেশি স্টল থাকলেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হয় না বরং দেশীয় রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য থাকা মুখ্য বিষয়। পৃথিবীর বড় বড় শহরে বিশেষ করে বেইজিং ও সিউলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে বিদেশি কোনো স্টলই থাকে না।'

গেস্ট অব অনার এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রেগুলেটরি বডিগুলোকে অটোমেশন করতে হবে। এর মাধ্যমে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস নিশ্চিত হবে। তিনি চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলগুলোতে গ্যাস ও পানির মতো অপরিহার্য ইউটিলিটিজের সংকট সমাধানে সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, 'বেসরকারি খাতে দেশের বৃহৎ আয়োজন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তিন দশক পেরিয়ে ৩১তম আয়োজনে পা রেখেছে। এই যাত্রায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা এবং সবাইকে আমরা পাশে পেয়েছি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা কেবল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে তা নয়। এটি চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে।'

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ আস্তে আস্তে এ অঞ্চলে রিজিওনাল হাবে পরিণত হয়ে উঠছে। তিনি এ ধরনের বাণিজ্য মেলা পণ্য উৎপাদনকারীদের অফুরন্ত সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে বলে মন্তব্য করেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে