সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার
সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা লেনদেন সূচক কমেছে ৩৭.১০ পয়েন্ট
প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধনের কারণে বিগত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন কিছুটা কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১১ থেকে ১৫ ফেব্রম্নয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৩৭.১০ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশের বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় এক হাজার ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা কমেছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ১২.২১ শতাংশ কম। দৈনিক গড় লেনদেন এক হাজার ৬৯৫ কোটি থেকে কমে এক হাজার ৪৮৮ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট সাত হাজার ৪৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে চার দিনে মোট আট হাজার ৪৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে এক হাজার ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৭.১০ পয়েন্ট কমে ৬,৩৩৬.২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৩৮২.২২ পয়েন্টে এবং ২,১৫৭.০৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৪০৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ৭৩টির দর বেড়েছে, ৩০৯টির দর কমেছে, ১৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১১টির লেনদেন হয়নি।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য কমেছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.৭৭ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১৩.৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮১ লাখ ১১ হাজার ৬৮০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ২৯৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৮.২১ শতাংশ।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৭৬ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ০.৮৬ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৬১ লাখ ২৪ হাজার ৬২২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২২৬ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৫৫ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজ লিমিটেডের ১৯৬ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৮৪ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং সিরামিকের ১৬৮ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মার ১৪২ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিংয়ের ১৪২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আইটি কনসাল্ট্যান্টস লিমিটেডের ১৩৩ কোটি এক লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিকদার ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫৯.৫৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে লাভেলো আইসক্রিমের ২৮.২৬ শতাংশ, বেস্ট হোল্ডিংসের ২৮.২১ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিকসের ২০.৭১ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ১৭.৩৮ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংকের ১৭.০০ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ১৫.৬৬ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইলসের ১৪.৬৩ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের ১৪.২৯ শতাংশ এবং আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ১৪.০৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫.৭৬ শতাংশ কমেছে।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রিং শাইনের ১৩.১৬ শতাংশ, শামপুর সুগার মিলসের ১২.৭৫ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ১২.৪৬ শতাংশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ১২.৪৪ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১২.২৬ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ১১.৭৬ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১১.৪৮ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের ১১.২৭ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংক পিএলসির ১১.২৪ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।