সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ডিসিসিআই সভাপতি

ঋণ না পেলে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হবে ছাঁটাই হবে শ্রমিক

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ঋণ না পেলে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হবে ছাঁটাই হবে শ্রমিক

ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমে যাওয়ায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা কার্যকরী মূলধনের চাহিদা ২০-৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এই পরস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মাত্র ১০ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে। ফলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। ওয়ার্কি ক্যাপিটাল বাড়াতে না পারলে ব্যবসায়ীদের উৎপাদন কমিয়ে দিতে হবে। আর এ অবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে চললে শ্রমিক কমাতে হবে। এমন অভিমত দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টকে অংশ নিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি এই অভিমত দেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনের আল-রাজী কমপেস্নক্স সিএমজেএফের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন- সংগঠনের সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি করতে চাইলে এখনকার থেকে আড়াইগুণ বড় করতে হবে। ৬ বছরে আড়াইগুণ, আপনি যদি হিসাব করেন দেখবেন, সাংঘাতিক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটা যদি আমরা উৎরাতে চাই, তাহলে যে গ্রোথ রেট দরকার, সেটা আমরা আগে কখনো দেখিনি। আপনি যদি হঠাৎ করে গ্রোথ রেট ৬ শতাংশ থেকে ৯ বা ১০ শতাংশে নিতে চান, আপনাকে অনেক কিছু করতে হবে।

তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরে আমাদের অর্থনীতি অনেকগুলো অভ্যন্তরীণ মেজর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। শুধু আমরাই যে মুখোমুখ, তা কিন্তু না। আপনি যদি দেখেন মুদ্রাস্ফীতির ব্যাপারটা দুনিয়জুড়েই সবাইকে হিট করেছে। আমাদেরও করেছে।

তিনি আরও বলেন, জাপানি ইয়েন বা ভারতীয় রুপি টাকার অংকে খুব একটা বাড়েনি। এর কারণ হলো- অন্যান্য দেশেও কারেন্সি রিভ্যালুয়েশন করতে বাধ্য হয়েছে। কারেন্সি রিভ্যালুয়েশনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় সমস্যা আমরা আমদানি করতে পারছি না। ব্যাংকগুলোর কাছে যথেষ্ট ডলার লিকুইডিটি নেই। এটা গত এক বছর ধরে আমাদের ভোগাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য সমস্যা একটা দাঁড়িয়ে গেছে, আগামী বছরের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ। সহজে যদি বিষয়টি বলি, গত বছর আমাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল রিকয়ারমেন্ট যেটা ছিল, ডলারের দাম বাড়ার কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের রিকয়ারমেন্ট বেড়ে যায়। ওয়ার্কি ক্যাপিটাল রিকয়ামেন্ট বেড়ে যাওয়ার পরিমাণ ২০-৪০ শতাংশ। এই অবস্থায় যদি ক্রেডিট গ্রোথ মাত্র ১০ শতাংশ হয়, তখন আমাদের জন্য খুব ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন হয়ে যায়।

এর কারণ হিসেবে ঢাকার ব্যবসায়ীদের এই নেতা বলেন, ব্যবসা করার জন্য যখন আমি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলছি, আমি দেখছি ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল যদি বাড়াতে না পরি তাহেল প্রডাক্টশন (উৎপাদন) কমিয়ে দেওয়া ছাড়া, সার্ভাইভের অন্য রাস্তা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে