সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় এর পাঁচগুণ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। এর আগে টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার।
দিনের লেনদেন শেষে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও এদিন লেনদেন শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু দুপুর ১২টার পর থেকে বাজার চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ঢালাও পতন হওয়ায় দেখতে দেখতে মূল্যসূচকেরও মোটামুটি বড় পতন হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৫টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫টি হল্টেড (একদিনে যতটা বাড়া সম্ভত ততটাই বেড়েছে) হয়েছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।