রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন সূচক বেড়েছে ১৫৯ পয়েন্ট

যাযাদি রিপোর্ট
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন সূচক বেড়েছে ১৫৯ পয়েন্ট

পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দরসীমা) তুলে নেওয়ার ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ থেকে ৮ ফেব্রম্নয়ারি লেনদেন ও সূচকে বড় উলম্ফন দেখা গেছে। এ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৫৯ পয়েন্ট বেড়েছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় তিন হাজার ৮৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেড়েছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ৮৪.৮৬ শতাংশ বেশি। দৈনিক গড় লেনদেন ৯১৬ কোটি থেকে বেড়ে এক ৬৯৫ কোটি টাকায় ওঠে এসেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট আট হাজার ৪৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে চার দিনে মোট চার হাজার ৫৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে তিন হাজার ৮৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫৯.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৩৭৩.৩৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্‌ সূচক ২৪.৩৯ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৩৮৭.৩২ পয়েন্টে এবং ২,১৩৮.২২ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৪০৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৩৪০টির দর বেড়েছে, ৩৮টির দর কমেছে, ১৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৩টির লেনদেন হয়নি।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য বেড়েছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৩.৪৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে ১২.৭৭ তা পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৮৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ২৪৭ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭.৪৪ শতাংশ।

লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ৭২৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৪৬ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.২৯ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ২১৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৩৯ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.২৬ শতাংশ।

এ ছাড়া সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মার ২০২ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকার, অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজের ১৭৫ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ১৭৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১৬০ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং ইভিন্স টেক্সটাইলস লিমিটেডের ১৫০ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিকদার ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০.১০ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ৩৬.৩৬ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ৩৫.১৪ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৩১.৫৬ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩০.৭৭ শতাংশ, এডভেন্ট ফার্মার ২৯.৬০ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ২৫.১৩ শতাংশ, উত্তরা ফাইন্যান্সের ২৫.১০ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রকিসের ২২.৯৮ শতাংশ এবং এস. আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের ২২.৮২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

আলোচ্য সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে রেনাটা লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২.১০ শতাংশ কমেছে।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে খান ব্রাদার্সের ৯.৪১ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৮.৩৫ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৮.০১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের ৭.৭৮ শতাংশ, রতনপুর স্টিলের ৭.৫৩ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেডের ৭.৩৩ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ৬.৫১ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৪.৬০ শতাংশ এবং আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৪.০৩ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে