আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে পরীক্ষায় পাস করলে :অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে হলে আগে পরীক্ষায় পাস করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জায়েযন্দু দে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে কি আলাপ হলো এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ যেগুলো টার্গেট দিয়েছে আমরা তো ভালো করছি। বেশিরভাগই সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে আমাদের। এখন মার্চ মাসে তারা আবার আসবে এবং দেখবে। এটা তো চলতেই থাকে। আমার তো মনে হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপটাও আমরা মিট করব। তৃতীয় কিস্তি কবে নাগাদ পেতে পারি এমন প্রশ্নে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অনগোয়িং টেস্টগুলোতে পাস করতে হবে। তাহলে সেটি পাওয়া যাবে। পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভালো বলছি এটিই তো পজিটিভ নোট। ভালো না হলে কেন ভালো বলব। আমি যদি ফেল করি তাহলে কি বলব পাস করে গেছি। রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ছিল সেটি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ বলেছে যে ওরা যে টার্গেট দিয়েছিল সেগুলো মোটামুটি মিট করেছে, দেখা যাক। তারা কি নতুন কোনো বাজেট দেবে? এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষায় পাস করলে নতুন করে দেখবে ওরা যে কি সিচুয়েশন আছে এখন। সিচু্যয়েশন তো এখন ভালো দেখা যাচ্ছে। মানে পরীক্ষায় পাস করছি। দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়ে বাংলা?দেশ ব্যাংকের ঘোষণা বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা ভালো। এটি হ?তেই পা?রে। আইডিয়া তো আছেই। দুই একটি তো একেবারেই কাজ করতে পারছে না তাদের তো মার্জ করাই ভালো। যারা স্ট্রং তাদের সঙ্গে করা যেতে পারে। উন্নত অর্থনীতিতে অহরহ একীভূতকরণ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, যেখানে মুক্ত অর্থনীতি আছে সেসব দেশে তো সবসময় একীভূত হয়। একেবারেই কাজ করছে না তার চেয়ে তো একটি ভালো ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করাই তো ভালো। এটি হলো আইডিয়া। তবে এটি অবশ্যই সম্ভব। ত?বে এখনো পর্যন্ত আমা?দের কা?ছে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের একীভূতকরণের প্রস্তাব আসে নি। প্রস্তাব আসুক, তারপর দেখা যাবে। এটার জন্য সময় দিতে হবে।