১৬ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়ে ১৭০০ কোটি টাকা ছাড়াল

ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৮টির। আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ারবাজার
দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। প্রায় প্রতিদিনই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেনের গতি। বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের পর একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। লেনদেনের গতি বাড়ার পাশাপাশি সার্বিক শেয়ারবাজারেও বেশ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডিএসইতে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট কমে যায়। তবে আধাঘণ্টার মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ধারাবাহিকভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে দাম কমার তালিকা ছোট হওয়ার পাশাপাশি সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতাও কমে। এমনকি বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৮টির। আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৫টির দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরমধ্যে হল্টেড (একদিনে যতটা বাড়া সম্ভত ততটাই বেড়েছে) হয়েছে ২৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৩৫২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার দিনে ডিএসইতে এক হাজার ৭৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় এক হাজার ৬৫১ কোটি ৮২ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো। এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১০০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অলিম্পিক এক্সোসরিজ, বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, ফু-ওয়াং ফুড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আইএফআইসি ব্যাংক ও এমরেল্ড অয়েল। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।