জনপ্রিয় ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি বন্ধ ঘোষণা করেছে জীবন বীমা কর্পোরেশন।
এক অফিস আদেশে এই পলিসিকে 'অলাভজনক' হিসেবে বর্ণনা করে গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিক্রি বন্ধ রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ব এ বীমা কোম্পানি।
ওই আদেশে বলা হয়, 'জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যক্তিগত পেনশন পলিসি অলাভজনক বিধায় একচু্যয়ারিয়াল কনসালট্যান্ট পলিসিটির বিপণন বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করেছেন। একচু্যয়ারিয়াল কনসালট্যান্টের সুপারিশ পরিচালনা বোর্ডের ৬২৪তম সভায় অনুমোদিত হয়েছে।'
নতুন করে বীমা পলিসি বিক্রি করা না হলেও পুরনোগুলোর সুবিধা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, 'বীমা প্রতিষ্ঠান একচু্যয়ারির পরামর্শ গ্রহণ করে। তারা সুপারিশ করেছেন ব্যক্তিগত পেনশন বীমায় কোনো লাভ হচ্ছে না। অলাভজনক হওয়ায় তা বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। এখন দাবি উঠছে ফের চালু করার।'
পেশাজীবী ও কর্মজীবীসহ যে কোনো পেশার মানুষের জন্য এ বীমা পলিসি চালু করা হয়েছিল। কর্মজীবনে অকাল মৃতু্যতে জীবন বীমার আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসর জীবনের জন্য আমরণ পেনশন পাওয়ার সুযোগের কারণে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু গত বছরের আগস্টে দেশে প্রথমবারের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর তিন মাস পর ব্যক্তিগত পেনশন পলিসিকে 'অলাভজনক' দেখিয়ে তা বন্ধ করে জীবন বীমা কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুলস্নাহ খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।
ব্যক্তিগত পেনশন পলিসিতে দুর্ঘটনাজনিত মৃতু্য বীমার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বা দুর্ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে বীমাগ্রহীতা মারা গেলে বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৩০ গুণ অর্থ পান তার নমিনি। বার্ষিক ও ষাণ্মাসিক দুইভাবেই এই বীমার প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়।
পেনশন গ্রহণ করার দশ বছরের মধ্যে গ্রহীতার মৃতু্য হলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য নমিনি পেনশন সুবিধা পান। পেনশন নেওয়ার আগে বীমাগ্রহীতার স্বাভাবিক মৃতু্য হলে পেনশন বা বিকল্পের যেটিতে বেশি অর্থ পাওয়া যায়, তা নমিনিকে এককালীন পরিশোধ দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
বীমাগ্রহীতা অবসরে যাওয়ার সময়ে পেনশনের টাকার ৫০ শতাংশ বা পুরোটাই সমপর্ণ করে এককালীন অর্থ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আয়কর মুক্ত সুবিধা থাকায় বীমাপত্রটির বিপরীতে গ্রাহকের ঋণ নেওয়ারও সুযোগ ছিল।