রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৬ মাসে ২৮ হাজার টন আদা আমদানি

ভোমরা বন্দর
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
৬ মাসে ২৮ হাজার টন আদা আমদানি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে মসলাজাত পণ্যটির আমদানি বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা পণ্যটির আমদানি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে বন্দরে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও সাতক্ষীরার হাটবাজারগুলোয় দাম কমেনি আদার। দুই-তিন মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে মসলাটির বাজার।

ভোমরা স্থলবন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজ। সারা বছর আদা, জিরা ও শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন মসলাজাত পণ্য আমদানি করে তারা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আবু হাসান জানান, চলতি অর্থবছরের শুরুতে তাদের আদা আমদানি বেড়েছে। প্রতি সপ্তাহে আমদানির পরিমাণ ১৮-২০ ট্রাক, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ?গত অর্থবছরের এ সময়ে প্রতি সপ্তাহে ৮-১০ ট্রাক আদা আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব আদা রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় বলে জানান তিনি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বন্দরটি দিয়ে ২৭ হাজার ৯২৭ টন আদা আমদানি হয়েছে, যার আমদানি মূল্য ৩০৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৪৫৪ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ১৩৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ টন, যা দ্বিগুণেরও বেশি।

এদিকে গত শনিবার সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় মোকাম সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা দরে। সরবরাহ বাড়ার পরও দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে, মেসার্স আবির ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান, আমদানি বাড়লেও আমদানি খরচ কমেনি। ডলারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানিকৃত অধিকাংশ মসলার দাম চড়া যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে।

সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মাদ আব্দুলস্নাহ বলেন, '?সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে আদাসহ অন্যান্য আমদানিকৃত মসলার দাম কমছে না। এর মূল কারণ ডলারের বাড়তি বিনিময় হার। তার পরও যেসব ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বেশি নেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে