ডলার সংকট চলছেই। এতে জরুরি পণ্য আমদানির দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে চলছে ডলার বিক্রি। যার প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে। নতুন বছরে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কমেছে ১৭৬ কোটি ৩০ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির ৩ তারিখ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার। রিজার্ভ থেকে অব্যাহত ডলার বিক্রির ফলে ২১ দিনে কমেছে ১৭৬ কোটি ৩০ ডলার। বর্তমানে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৩ কোটি ডলারে।
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় দুই হাজার ৫২৩ কোটি বা ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২১ কোটি বা ৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের গ্রস রিজার্ভ এখন দুই হাজার ২ কোটি বা ২০ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার।
গত ২১ দিনের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১৭৭ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ১৭২ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার।