শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

বৈদেশিক আরটিজিএস লেনদেনে যুক্ত হলো চীনের মুদ্রা ইউয়ান

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বৈদেশিক আরটিজিএস লেনদেনে যুক্ত হলো চীনের মুদ্রা ইউয়ান

তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা তথা রিয়েল টাইম গ্রস সেটলমেন্টে (আরটিজিএস) যুক্ত হলো চীনা মুদ্রা ইউয়ান। আগামী ৪ ফেব্রম্নয়ারি থেকে আরটিজিএসে ইউয়ানেও লেনদেন নিষ্পত্তি করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে এটি জারি করা হয়।

আরটিজিএস হলো ভিন্ন দুটি ব্যাংকের মধ্যে তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তির অনলাইন মাধ্যম। এতো দিন মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার ও জাপানের ইয়েন- এ পাঁচ বিদেশি মুদ্রায় আরটিজিএসে ক্লিয়ারিং হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় ক্লিয়ারিং কার্যক্রম আধুনিক, যুগোপযোগী ও তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এফডিডির পরিবর্তে আরটিজিএস ব্যবস্থা চালু হয়। এর মাধ্যমে পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রায় (মার্কিন ডলার, পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও কানাডিয়ান ডলার) অটোমেটেড ক্লিয়ারিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরটিজিএস ব্যবস্থায় এখন চাইনিজ ইউয়ানও (সিএনওয়াই) অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উলেস্নখ করা হয়, আগামী ৪ ফেব্রম্নয়ারি থেকে আরটিজিএস ব্যবস্থায় চীনা ইউয়ানে লেনদেন চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে 'গাইডলাইনস অব এফসি ক্লিয়ারিং থ্রম্ন বিডি-আরটিজিএস সিস্টেম' অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরে দেশীয় মুদ্রায় বড় অংকের লেনদেন (১ লাখ বা তদূর্ধ্ব) তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি করতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আরটিজিএস ব্যবস্থা চালু করে। পরবর্তী সময়ে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো পেমেন্ট সিস্টেমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রায় আরটিজিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেন শুরু হয়।

২০২৩ সালের আগস্টে চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক প্রেফারেন্সিয়াল বায়ার্সের ক্রেডিটে (পিবিসি) অর্থায়ন করা প্রকল্পগুলোয় নিজস্ব মুদ্রায় ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দেয়। বিশ্ববাজারে ডলারের দুষ্প্রাপ্যতা এবং এর সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিষয়টি জড়িত থাকায় বাংলাদেশকে পিবিসি ঋণ ইউয়ানে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আবেদন করে চীনের ব্যাংকটি।

প্রচলিত মার্কিন ডলারভিত্তিক ঋণের বিপরীতে চীনের ইউয়ানভিত্তিক ঋণের সুবিধা-অসুবিধা পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইউয়ানে ঋণ নিলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ এ ধরনের ঋণ সাধারণত চীন থেকে পণ্য কিনতে ব্যবহার করা হয়। চীনের ঋণদাতা ব্যাংক বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহকারী যে ব্যাংকের গ্রাহক, তাদের সরাসরি আমদানি মূল্য পরিশোধ করবে। ডলারের পরিবর্তে ইউয়ানে মূল্য পরিশোধ করার ফলে রিজার্ভ বাড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে