ভারতে কয়লার উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে কয়লা আমদানি ৪০ শতাংশ কমেছে। যদিও এ সময় তাদের তাপবিদু্যৎ উৎপাদন বেড়েছে ১০ শতাংশ।
ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান উলেস্নখ করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে ভারতে কয়লা আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টন; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ কোটি ৮৭ লাখ টন। এই সময়ে ভারতের সামগ্রিক বিদু্যৎ উৎপাদন ৭ শতাংশ বাড়লেও তাপবিদু্যৎ উৎপাদন বেড়েছে ১০ শতাংশ।
ভারতে নবায়নযোগ্য বিদু্যৎ উৎপাদন বাড়ছে। সেই সঙ্গে কয়লাভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদনও বাড়ছে। কয়লার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে, আমদানি বাড়াতে হচ্ছে না।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে ভারতে কয়লাভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদিত হয়েছে ৮৭২ বিলিয়ন ইউনিট, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮১৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউনিট। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। কয়লাভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমদানিও কমছে। দেশটির নিজস্ব কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে।
ভারতের কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, আগামী অর্থবছর (এপ্রিল ২০২৪-৩১ মার্চ ২০২৫) থেকে ভারত তাপবিদু্যৎ উৎপাদনের জন্য আর কয়লা আমদানি করবে না। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন শতকোটি টন ছাড়িয়ে যাবে বলে যে পূর্বাভাস, তার ওপর ভর করে তিনি এ কথা বলেছেন।
ভারতের বিদু্যৎমন্ত্রী আর কে সিংহ গত নভেম্বর মাসে বলেছিলেন, ভারতে কয়লাভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদন ৫০ গিগাওয়াটে উন্নীত হতে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত আরও ৩০ গিগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদন করতে হবে।
ভারতের সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির আনুমানিক হিসাব, ২০২৪-২৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বিদু্যৎ চাহিদা ২৫৬ গিগাওয়াটে পৌঁছাবে।