নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে মাংস বিক্রেতা ও খামারিরা মিলে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করেন প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা। এই দামে কিনলে ক্রেতা প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি পেতেন। নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত বাজারে এই দাম কার্যকর ছিল। এখন আবার নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম বেঁধে দিয়ে মাংস বিক্রি করতে গেলে অনেকের লোকসান হচ্ছে বলে দাবি তাদের। সম্প্রতি গরুর মাংসের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা সভা করেছেন। এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, এখন থেকে গরুর মাংসের কোনো নির্ধারিত দাম থাকবে না। কারণ, নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের শিকার হচ্ছেন। বাজারের চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে মাংসের দাম নির্ধারিত হবে। তবে ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মাংসের দাম যতটুকু সম্ভব কমিয়ে রাখা হবে বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাংস ব্যবসায়ীদের এ সিদ্ধান্তের আগেই বাজারে গরুর মাংসের দাম এক দফা বেড়েছে। এখন অধিকাংশ জায়গায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। কোথাও কোথাও ৬৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও, তাতে মাংসের মানের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হচ্ছে। সামনে আসছে পবিত্র শবেবরাত ও রমজান মাস। সাধারণত এ সময়ে বাজারে মাংসের দাম একটু বাড়তির দিকে থাকে। ঠিক এ সময়ে ব্যবসায়ীরা গরুর মাংসের নির্ধারিত দর থেকে সরে এলেন। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আবার একটানা ৯ বছর বৃদ্ধির পাওয়ার পর দেশে প্রথমবারের মতো মাংসের উৎপাদনও কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) ৫ লাখ ৫৫ হাজার টন মাংস কম উৎপাদিত হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।