আসন্ন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন ও পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস. আলম গ্রম্নপ কয়েকশ' মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রায় ১২ লাখ টনের বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে যা দেশের রমজানের মোট ভোগ্যপণ্য চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, ভোজ্যতেল, গম, ডাল, ছোলা ইত্যাদি। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস. আলম গ্রম্নপ যা চলতি বছরে ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এস. আলম গ্রম্নপ দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রমজানে বিপুল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রমজানে চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টনের মতো। এস. আলম গ্রম্নপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টন চিনি। যা রমজানের চাহিদার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ২২ লাখ টনের মধ্যে রমজানে সারাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টনের মতো। এস. আলম গ্রম্নপ রমজান উপলক্ষে আমদানি করবে ২ লাখ ৫৮ হাজার টন যা রমজানের চাহিদার ৮৬ শতাংশ।
দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ টন (দেশীয় উৎপাদন ব্যতীত) গমের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ভোক্তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৫ লাখ ২৮ হাজার টন গম। এস. আলম গ্রম্নপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে এক লাখ ৭৮ হাজার টন যা রমজানের চাহিদার ৩৪ শতাংশ।
দেশে মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ লাখ টন যার মাসিক চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা থাকে প্রায় এক লাখ টন। এস. আলম গ্রম্নপ রমজানে ৫০ হাজার ডাল আমদানি করছে যা রমজানের চাহিদার ৫০ শতাংশ।
একইভাবে বছরে ভোক্তাদের ছোলার প্রয়োজন ১ লাখ ৩৬ হাজার টন। এর মধ্যে রমজানেই ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় ৯১ হাজার টনের মতো। এস. আলম গ্রম্নপ রমজানে ৫০ হাজার টন ছোলা আমদানি করছে যা রমজানের চাহিদার ৫৫ শতাংশ।
এসব উদ্যোগ রমজানে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের নাগালে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রম্নপ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'বরাবরের মতো এবারও আমরা রমজানের মোট চাহিদার সিংহভাগ পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পণ্যের কিছু বর্তমানে মজুত এবং বেশ কিছু চালান খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকারের লক্ষ্য পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চাহিদার বিপরীতে রমজানে ঘাটতি হলে আরও পণ্য আমদানির পদক্ষেপ নেব আমরা।'
