শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৈশ্বিক ভুট্টা উৎপাদন ৬ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বৈশ্বিক ভুট্টা উৎপাদন ৬ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

বিশ্বজুড়ে চলতি বছর ভুট্টা উৎপাদন প্রায় ৬ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিলের (আইজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রেইন মার্কেট প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডট কম।

আইজিসি বৈশ্বিক ভুট্টা উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। আগের মাসের তুলনায় পূর্বাভাস ৭০ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসাবে মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২৩ কোটি টনে, গত বছর যা ছিল ১১৬ কোটি ৫০ লাখ টন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে মোট রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে ভুট্টার ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন। এ মৌসুম শেষে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩০ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা গত মৌসুমের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ বেশি।

আইজিসি জানিয়েছে, ভুট্টা উৎপাদন বাড়লেও চলতি মৌসুমে গমের উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ২ শতাংশ বা ১ কোটি ৬০ লাখ টন কমতে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টনে। তবে গত মাসে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন ১০ লাখ টন বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, মোট শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস প্রতি বছর বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে শস্যের ব্যবহারও। ফলে বিশ্বব্যাপী সমাপনী মজুত আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠতে পারে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬০ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। মৌসুম শেষে ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩১ কোটি ৪০ লাখ টনে, যা ২০২২-২৩ মৌসুমের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ বেশি।

খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক সমাপনী মজুত সংশোধন করে ৫০ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে সমাপনী মজুদের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫৯ কোটি টনে। তবে আগের মৌসুমের তুলনায় মজুত এবারও কমতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে টানা সাত বছরের মতো মজুত কমতে যাচ্ছে।

আইজিসি জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী সয়াবিন উৎপাদন গত মৌসুমের উৎপাদনের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়ে ৩৯ কোটি ২০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। তবে গত মাসের পূর্বাভাস সংশোধন করে উৎপাদন ৩০ লাখ টন কমার কথা জানিয়েছে কাউন্সিল।

চালের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাসও সংশোধন করে কমিয়েছে আইজিসি। এল নিনোর প্রভাবে আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন বিশ্বের প্রধান প্রধান উৎপাদক দেশগুলো। উৎপাদনের পাশাপাশি শস্যটির বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।

সর্বশেষ প্রতিবেদনে আইজিসি জানায়, চলতি মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ৫১ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে, যা আগের পূর্বাভাস ও গত মৌসুমের তুলনায় কম। এর বৈশ্বিক উৎপাদন কমে নামতে পারে পাঁচ কোটি টনে। এছাড়া ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫১ কোটি ৬০ লাখ টনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে