অভিযুক্ত ই-কমার্সগুলো ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে :ভোক্তা জিডি

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোক্তার স্বার্থে ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, তারা যদি ব্যবসার মধ্যে না থাকে তবে কীভাবে ভোক্তার টাকা পরিশোধ করবে। যারা দেশে রয়েছে, একটি পাওনা পরিশোধের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তারা সেটা করছে। যারা টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে, কার্যক্রম বন্ধ, তাদের টাকা ফেরত আসছে না। সেটা আরও বড় সমস্যা। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে 'ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার ও আমাদের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সফিকুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত ভোক্তাদের ৩৮৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কিউকম পরিশোধ করেছে ৩০৮ কোটি টাকা, আলিশা মার্ট ৪০ কোটি টাকা ও ইভ্যালি ১০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে পেরেছে। কিন্তু ই-অরেঞ্জের মতো যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তারা পালিয়ে গেছে, তাদের টাকা ফেরত আনা যাচ্ছে না। তারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করে ফেলেছে। তাদের আমরা ধরতে পারছি না। সফিকুজ্জামান আরও বলেন, অনেক সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে ই-কমার্স লাগবে। এটির একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রেখেছে। কোভিডের সময় প্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, তবে শুরুতে নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই এসব স্ক্যাম করে ফেলেছে। তখন ধরা সম্ভব হয়নি। এখন আমরা নিয়ম করেছি। ডেলিভারি সিস্টেম ক্যাশ অন করা হয়েছে। ডিবিআইডি বাধ্যতামূলক করেছি, যেন এসব প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলে ধরতে পারা যায়। এছাড়া সিসিএমএস (কাস্টোমার কমপেস্নন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সিস্টেম আসছে। যা শুধু ই-কমার্সের অভিযোগ নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া তাদের জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ করা হচ্ছে।