দেশি পেঁয়াজের দাম কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় পেঁয়াজ
প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বাড়লেও পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮-১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় দাম বেড়েছে। এছাড়া নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী কী ধরনের পদক্ষেপ নেন, তার অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জে রোববার পাইকারি পর্যায়ে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৬৫-৭০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের একই জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১০০ টাকা দরে। অর্থাৎ গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ টাকা। পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, শিবগঞ্জ, মাগুরা, রাজশাহীসহ অন্যান্য এলাকা থেকে পুরোদমে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তাই সামনে দাম আরও কমে আসার প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দাম কমলেও তা গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে।
অন্যদিকে বাজারের তথ্যমতে, রপ্তানি বন্ধ রাখার প্রভাবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ১৫০-১৬০ টাকার ঘরে। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। এতে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে। গত সপ্তাহের শুরুতে (শনিবার) ভারতীয় পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকায় নামলেও তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। রোববার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোয় আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫-১২০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা।
এদিকে খাতুনগঞ্জে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মসলার বিক্রি অনেকটাই কমে এসেছে। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা ও রসুন বিক্রি হয়েছে মানভেদে ২২০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে রসুনের দাম ছিল ১৯০-২০৫ টাকার ঘরে। এ হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পণ্যটির দাম বেড়েছে অন্তত ১৫ টাকা। তবে আদার দাম সপ্তাহখানেক ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন পাইকারি বাজারগুলোয় দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু আকারের তারতম্যের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে এ দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কম। তবে বাজারে বড় আকারের দেশি পেঁয়াজের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ দেশি পেঁয়াজের আকারই ছোট হয়ে থাকে। এ কারণে বাজারে এখনো ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি।