সাড়ে সাতশ' কোটি টাকা ছাড়াল লেনদেন
প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
আতঙ্ক কেটে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। ধারাবাহিকভাবে মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। একই সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাচ্ছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর থেকেই শেয়ারবাজারে এই ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে সাড়ে সাতশ' কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলো।
এর আগে নির্বাচন ঘিরে দেখা দেওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় দেশের শেয়ারবাজারে দেখা দেয় মন্দা প্রবণতা। অধিকাংশ দিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্যসূচকের পতন হয়। একই সঙ্গে লেনদেন আশঙ্কাজনক হারে কমে নেমে যায় তিনশ' কোটি টাকার নিচে। তবে সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেনের গতি।
বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারা দেখা যায় শেয়ারবাজারে। ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুতে দেখা দেওয়া ইতিবাচক ধারা লেনদেনের পুরো সময়জুড়েই অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বাড়ে।
বাজারে বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার চাপ বেশি থাকায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টির। এছাড়া ১৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি একাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইস ভেঙে উপরে উঠে এসেছে।