টেক্সটাইল জলীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্ভাবন!
প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
টেক্সটাইল বা তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছে দেশের টেক্সটাইল খাত। দ্রম্নত বর্ধনশীল এই খাতের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি টেক্সটাইল ওয়েস্ট ওয়াটার বা জলীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এক যুগান্তকারী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল গবেষক। এতে করে কম খরচে টেক্সটাইল জলীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে। গবেষকরা ইতিমধ্যে একটি টেক্সটাইল কারখানায় এটির পাইলট প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে সংগ্রহকৃত বিস্নচ ও বস্নাস্ট ফার্নেস আয়রন সস্নাগ ব্যবহার করে টারশিয়ারি লেভেলের জলীয় বর্জ্য পরিশোধনের কাজটি আরও সহজে ও কম খরচে সম্ভব হয়েছে। পরিশোধিত পানি এনভায়রনমেন্টাল কনজারভেশন রুলস-২০২৩ এর যে মানদন্ড রয়েছে তা পূরণ করেছে এবং সেই সঙ্গে এই পরিশোধিত পানি টেক্সটাইল ওয়েট প্রসেসিংয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত উপাদানগুলো অনেকটাই আমদানিনির্ভর।। গবেষকরা জানিয়েছেন তাদের উদ্ভাবিত নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত রাসায়নিকের আমদানিনির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, দেশীয় বা স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহকৃত উপাদান থেকে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে বিধায় এর সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে এবং আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে। এই প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত পানি সরাসরি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমবে এবং পানির সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যাবে। গবেষণাটি ইতিমধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে সেরা মনোনীত হয়েছে এবং পুরস্কার পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে 'ওয়ান হেলথ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক কনফারেন্স যার আয়োজক ছিলেন ওয়ান হেলথ ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় জাপান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় পুরস্কারটি পেয়েছে 'স্ট্র্যাটেজিস টুওয়ার্ড গ্রিন ডিল ইমপিস্নমেন্টেশন -ওয়াটার, র ম্যাটেরিয়ালস এন্ড এনার্জি' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে। কনফারেন্সটি আয়োজন করেছিল মিনারেল এন্ড এনার্জি ইকোনমি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পোলিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বায়োজেনিক রড ম্যাটেরিয়ালস ডিভিশন এবং সহযোগিতা করেছেন পোল্যান্ডের পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রণালয়, জাতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র, পোলিশ ওয়াটারওয়ার্কস এবং দ্য চেম্বার অব কমার্স। গবেষণা প্রকল্পটির তত্ত্বাবধায়ন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিম রেজা খন্দকার, অন্য সদস্যরা হলে একই বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মো. সাহিল রফিক ও শাখাওয়াত হোসেন অপূর্ব। গবেষকরা তাদের এই নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আশাবাদী যে তাদের গবেষণা দেশের টেক্সটাইল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিজ্ঞপ্তি