কয়লায় বিদু্যৎ উৎপাদন তিন গুণ হয়েছে

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বিদায়ী ২০২৩ সালে তিনগুণ হয়েছে দেশের কয়লা-ভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদন। এই উৎপাদন এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে বিদু্যৎ সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হয়, একইসঙ্গে কমাবে বিদু্যৎ উৎপাদনের খরচ। ২০২৩ সালে ডলার সংকট ও টাকার মানে অবনমনের কারণে প্রাকৃতিক গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল আমদানির দায় পরিশোধে সমস্যা হয় সরকারের। কয়লার চেয়ে এসব জ্বালানির দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এগুলো পোড়ালে দূষণ কয়লার চেয়ে কম হয়। এই অবস্থায়, গত বছর বাংলাদেশের মিশ্র জ্বালানির বিদু্যৎ উৎপাদনে অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন জ্বালানির চেয়ে কয়লার ব্যবহার/অংশ বাড়ার ঘটনা দেখা গেছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-র দৈনিক পরিচালন রিপোর্টগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালে কয়লা-ভিত্তিক বিদু্যৎ উৎপাদন হয় ৭.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। ২০২৩ সালে যা ব্যাপকভাবে বেড়ে রেকর্ড পরিমাণ ২১ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা হয়। বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেন, 'এ বছর নতুন একটি ইউনিট চালু হবে, এতে (বিদু্যৎ উৎপাদনে) কয়লার অংশ আরও বাড়তে পারে। সে তুলনায়, গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা স্থিতিশীল অবস্থানে থাকবে এবং তরল জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।' পিজিসিবির তথ্যমতে, জ্বালানি মিশ্রণে কয়লার অংশ ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে, ২০২২ যা ছিল ৮.৯ শতাংশ। গেল বছরে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫.২ শতাংশে, যা ছিল ৪ বছরের মধ্যে প্রথম বৃদ্ধির ঘটনা। সে তুলনায়, ২০২২ সালে মিশ্র জ্বালানিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশ ছিল ৫১ শতাংশ। তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মিশ্র জ্বালানির মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের গড় অংশ ছিল ৬৬ শতাংশ। তবে ওই বছর থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানিটির উচ্চমূল্য বাংলাদেশের বিদু্যৎ উৎপাদনে এর ব্যবহার কমানোর চাপ তৈরি করে। স্থানীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের গ্যাস সরবরাহের প্রধানতম উৎস। সরকারি তথ্যমতে, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের বদলে কয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। বিদু্যৎ উৎপাদনে তরল জ্বালানির অংশ ২০২৩ সালে ২০.৩ শতাংশে নেমে আসে, যা ২০২২ সালে ছিল ২৯.৬ শতাংশ।