শেয়ারবাজার

পতন দিয়ে বছর শুরু

বিদায় নেওয়া ২০২৩ সালের শেষ কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে ৬টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪টি মিউচুয়াল ফান্ড এবং দুটি কোম্পানি ছিল। এরপর ওইদিন মূল্যসূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। তবে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ।

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ারবাজার
নতুন বছর ২০২৪ সালের প্রথম দিন দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বছরের প্রথম দিন মূল্যসূচক ও লেনদেন কমলেও গত কয়েক কার্যদিবসের মতো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। পতনের বাজারেও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে তিনটি। দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বোচ্চ দামে কেনার আদেশ আসলেও, বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের বেশিরভাগ সময় দিনের সর্বোচ্চ দামে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগে বিদায় নেওয়া ২০২৩ সালের শেষ কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে ৬টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪টি মিউচুয়াল ফান্ড এবং দুটি কোম্পানি ছিল। এরপর ওইদিন মূল্যসূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। তবে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ। এ পরিস্থিতিতে নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার (১ জানুয়ারি) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিললেও লেনদেনের বেশিরভাগ সময় সূচকের বেশ অস্থিরতা দেখা যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম একটু বাড়লেই পরক্ষণেই পতন হতে দেখা যায়। আর লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে দিনের লেনদেন শেষে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৬টির। আর ১৬৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১, ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্স, বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড এবং আইসিবি এমপস্নয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ১ : স্কিম ১। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখালেও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ্‌ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সব কটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৭৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬০ কোটি ৬১ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিডি থাই অ্যালুমেনিয়ামের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৫৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, ইস্টার্ন ইন্সু্যরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, এক্সপ্রেস ইন্সু্যরেন্স, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড এবং ওরিয়ন ইনফিউশন। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৪টির এবং ৯৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।