চেনা ছন্দে নাহিদ রানা

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
যেই গতি নাহিদ রানাকে দিয়েছিল পরিচিতি, সেই গতির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তার। টানা ম্যাচ খেলার প্রভাবে ক্লান্ত শরীরে পাওয়া যেত না পুরোনো তেজ। তাতে কমতে থাকে সাফল্যের সূচক। বিপিএলে শুরুর নাহিদ রানার পারফরম্যান্স আর শেষের পারফরম্যান্সে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। শুরুর ৫ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে। গতি কমে যাওয়ায় আক্রমণের ধারও কমে যেতে থাকে। শরীরী ভাষায় ক্লান্তিভার ফুটে উঠে প্রবলভাবে। যদিও নাহিদ রানার দাবি ছিল,' শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও আমাকে ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে। তাদের সঙ্গে আমার কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।' যদিও ওই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়নি তার। টানা খেলার ওপর থাকা নাহিদ টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ওইভাবেই। টানা সাত ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচে বিরতি নিয়েছিলেন। ফিরে এসে খেলেন আবার পাঁচ ম্যাচ। তাতে কমতে থাকে তার বোলিং ধার। বিপিএলে তার পারফরম্যান্স উঠা-নামা চোখে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ফিল সিমন্সের। তবে আশার বিষয়, বিপিএল শেষে জাতীয় দলের অনুশীলনে ফিরে পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। নাহিদকে যেভাবে জাতীয় দলে পেয়েছিলেন সিমন্স সেভাবেই তাকে দেখেছেন সাম্প্রতিক সময়ে। জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ সিমন্স বলেন,' ''হ্যাঁ! (বিপিএলের) শেষ কয়েক ম্যাচে তাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির মনে হয়েছে। এমনকি শেষ দিকে এসে রান আপও তার স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল না। তবে তারা (রংপুর রাইডার্স) আগে বাদ পড়ে যাওয়ায় সে কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছে। বিশ্রাম নিয়ে আসায় তাকে মঙ্গলবার আবারও ধারালো মনে হয়েছে। গতি ফিরে আসছে এবং ক্যারিবিয়ানে যেমন ছিল, রান আপও তেমন গতিময় ছিল।'' আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চার পেসার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নাহিদ, মুস্তাফিজ, তাসকিনের সঙ্গে আছেন তানজিম হাসান। চতুষ্টয়ের মধ্যে নাহিদের গতি সবচেয়ে বেশি। যা বৈশ্বিক আসরে বড় প্রভাব রাখতে পারে। সব ঠিকঠাক থাকলে দুবাই ও রাওয়ালপিন্ডিতে সামনের টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই হয়তো মাঠে দেখা যাবে তাকে। স্বস্তির খবর, পুরোনো নাহিদকেই গতির ঝড় তুলতে দেখা যাবে বৈশ্বিক আসরে।