তানজিদ কেন ইমার্জিং পেস্নয়ার মুশফিক কীভাবে সেরা ফিল্ডার
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
নতুনত্বের বার্তা নিয়ে আয়োজন করা বিপিএলের শেষ দিনেও দেখা গেছে নতুন এক উদ্যোগ। প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের সেরা ইমার্জিং ক্রিকেটারকে পুরস্কৃত করেছে বিসিবি। আসরজুড়ে চমৎকার পারফরম্যান্সে এটি জিতেছেন তানজিদ হাসান তামিম। উদীয়মান ক্রিকেটারকে অনুপ্রাণিত করার পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই স্বীকৃতির মানদন্ড নিয়ে। দুটি বিশ্বকাপে খেলা তানজিদ কি এই মানদন্ডে পড়েন?
প্রশ্ন উঠছে টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার নিয়েও। ফরচুন বরিশালের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। সেরা ফিল্ডার বাছাইয়ের মাপকাঠি কী, কিপারকে সেরা ফিল্ডারের বিবেচনায় রাখার পেছনে ভাবনা কী, সেই ব্যাপারে মেলেনি কোনো সদুত্তর।
দুজনের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। পুরো আসরে ঢাকা ক্যাপিট্যালসের ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তানজিদ। প্রথম পর্বে বাদ পড়ার আগপর্যন্ত ১২ ইনিংসে ৪৪.০৯ গড় ও ১৪১.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৮৫ রান করে তিনিই ছিলেন ব্যাটসম্যানদের তালিকার শীর্ষে।
দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় তানজিদ খেলেন ১০৮ রানের ইনিংস। দুই ম্যাচ পর চিটাগং কিংসের সঙ্গে ৫৪ বলে ৩ চারের পাশাপাশি ৭ ছক্কায় বাঁহাতি ওপেনার করেন ৯০ রান। টুর্নামেন্টে মোট ৩৬টি ছক্কা মারেন ২৪ বছর বয়সী ওপেনার। বিপিএলের এক আসরে স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের এটিই সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড। পেস্ন-অফে উঠলে হয়তো ক্রিস গেইলের ৪৭ ছক্কার কীর্তির কাছাকাছি যেতে পারতেন তানজিদ।
"ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কারটা ধারাভাষ্যকারদের মূল্যায়ন ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে করা হয়েছে। তাদেরকে (ধারাভাষ্যকার) কোনো ক্রাইটেরিয়া দেওয়া হয়নি। সেরা ফিল্ডারের ক্ষেত্রেও একইভাবে পরিসংখ্যান দেখা হয়েছে।"
পরিসংখ্যানের বিচারে মুশফিকের সেরা ফিল্ডার হওয়ার যৌক্তিকতা অবশ্য কিছুটা আছে। বরিশালের হয়ে ১১ ম্যাচে কিপিং করে ১৪টি ডিসমিসাল পান অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক। কিপারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার ওপরে।