বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে চিটাগাং কিংসকে হারিয়ে বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে দ্বিতীয় বারেরমতো শিরোপা নিচ্ছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ সতীর্থরা -ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তিন বছরের চুক্তির চক্র এই মৌসুমেই শেষ হয়েছে। আসছে মৌসুমে নতুন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি আহবান করবে বিসিবি। সেখানে কিছু দল থাকবে, কিছু দল বাদ পড়তে পারে। তবে ফ্যানবেইজ ঠিক রাখতে খেলোয়াড় ধরে রাখা একটা ধারাবাহিক নিয়ম চান ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বিপিএলের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। চার আসরের মধ্যে ফাইনাল খেলেছে তিনবার। বরিশাল গত দুই আসর কিছু নির্দিষ্ট খেলোয়াড় নিয়ে খেলছে, এতে করে একটা আলাদা কোর গ্রম্নপ তৈরি হয়েছে তাদের।
বিসিবির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে নিশ্চিতভাবেই থাকার কথা তাদের। তবে নতুন চুক্তির পর খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম কেমন হবে তা চূড়ান্ত নয়। তাতে বদলে যেতে পারে দলের আদল। তামিম চান ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বদল হলেও দলের নামের ভিত্তিতে খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম করা হোক, ্তুএত কষ্ট করে একটা ফ্যানবেইজ তৈরি করেছি আমরা। প্রথম বিপিএল থেকে সবাই চায় যে, সব ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা ফ্যানবেইজ হোক। আইপিএলের উদাহরণ দেই আমরা। সেখানে নিয়ম কখনও পরিবর্তন হয় না। তাই মূল ক্রিকেটাররা একই দলে থেকে যায়। (বিপিএলে) তিন বছরের একটা চক্র শেষ হয়েছে। পাঁচ বছরের চক্র আসবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তাদের মূল ক্রিকেটারদের ধরে রাখার একটা সুযোগ দেওয়া উচিত।
বিপিএলের আসন্ন চক্রে কেবল একজন ধরে রাখার নিয়ম চালু হলে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়ের মধ্যে অন্তত তিনজনকে হাতছাড়া করতে হবে বরিশালকে। তামিম চান কমপক্ষে চারজন ধরে রাখার নিয়ম হোক, ্তুআপনি যদি মাত্র একজনকে ধরে রাখেন তাহলে তো এত দিন ধরে যে (ফ্যানবেজ) গড়েছেন, সব শেষ হয়ে যাবে। তাই যদি ৫টা, ৬টা বা ৪টা... কমপক্ষে ৪ জন ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে ফ্যানবেইজ যে তৈরি হয়েছে, তা আরও বড় হবে। ক্রিকেটাররাও ওই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তাই আমি আশা করি, যখনই পরের আসরের নিয়মকানুন করবেন উনারা (বিসিবি), এই জিনিসটা যেন মাথায় রাখেন।
এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা বদল হলেও যেন খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম বহাল থাকে, ্তুএখন যেটা সমস্যা হয়, মালিকপক্ষ বদলে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চিটাগাং এবার এক মালিক, পরের বছর আরেক মালিক। কিন্তু এটাতেও দল তো একই থাকছে, ক্রিকেটাররা একই থাকছে। তাই মালিক পরিবর্তন হোক বা না হোক, অন্য কেউ আসুক বা না আসুক, কেউ যদি চিটাগংয়ের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে, তাহলে তাকে একই স্কোয়াডে ধরে রাখার অনুমতিটা রাখা উচিত।
্তুতাদের যদি ইচ্ছে হয় যে ধরে রাখবে না, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। শুধু মালিক বদলে যাওয়ার কারণে অন্য দলগুলো ভুগবে, এটা ঠিক নয়। তাই আমার মনে হয়, অন্তত যদি ৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে এই ধরনের ফ্যানবেজ, আপনারা যা দেখছেন, এটা আরও বড় হবে।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বিদায় বলেও ফিরেছিলেন তিনি। তার পর দীর্ঘ বিরতি। আলোচনা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরতে পারেন। কিন্তু গত জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলে দিয়েছেন। গতকাল (শুক্রবার) বিসিবি তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও কয়েক বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চান দেশসেরা এই ওপেনার। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন সাবেক অধিনায়ক?
তামিমের সাবেক দুই সতীর্থ মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান খেলোয়াড়ী জীবনেই সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। শুক্রবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিমকেও এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, রাজনীতি করবেন কিনা- জবাবে বলেছেন, 'রাজনীতি? এখন তো আমি রিটায়ার্ড, যদি আসিও, এখন ওই আলোচনাটা হবে না। তবে আলস্নাহর রহমতে এরকম কোনও পস্ন্যান নেই।'
অনেকদিন ধরেই তার বোর্ডে আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাই সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে- বিসিবি সভাপতি হতে চান কিনা- এই সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দেননি দেশের সেরা ওপেনার। চোখ নাচিয়ে হাসতে হাসতে বলেছেন, 'ওটা দেখা যাক।'