চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে খেলে ম্যাচসেরা হন তাওহিদ হৃদয় -ওয়েবসাইট
সরাসরি চুক্তিতে তাওহিদ হৃদয়কে দলে ভিড়িয়েছিল ফরচুন বরিশাল। যদিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সেভাবে। আসর জুড়েই ব্যর্থ ছিলেন। কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে জ্বলে উঠলেন এই ওপেনার। তার ৫৬ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৬ বল হাতে রেখেই সহজ জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। সোমবার রাতে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিটটাও কেটেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ শেষে ফেসবুকে এক পোস্টে বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অন্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। টাইগার এই ব্যাটার লিখেছেন, সেদিন ুডৎরঃবৎ'ং ইষড়পশচ্ নামে একটি টার্মের সাথে পরিচিত হলাম। বিস্তারিত পড়াশোনা করে আমার মনে হচ্ছিল, আমিও যেন কোথাও একটা বস্নক খেয়ে আছি। পরিশ্রম করছি নিয়মিত, ধৈর্য্য ধরেছি, চেষ্টার কমতি নেই; কিন্তু রান হচ্ছিলো না। বিশেষ করে গত দুই বিপিএলের পর আমার কাছে সবার প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী।
তামিম ইকবালসহ বরিশালের অন্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হৃদয় আরও বলেন, রান না পাওয়ার আক্ষেপ আমার থেকেও আমি আমার ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে বেশী দেখেছি। তবে তার থেকে বেশী অনুপ্রেরণা দেখেছি আমার আশে-পাশের মানুষ গুলোর চোখে। তামিম ইকবাল ভাই কাউকে বোঝাতে পারবো না আপনি অভিভাবক হিসেবে কতোটুকু যথার্থ। এতো প্রত্যাশা থাকার পরেও, পুরো টিমের সবাই প্রতিনিয়ত আমাকে বুঝিয়েছেন সবই স্বাভাবিক, হৃদয় রানে ফিরবেই! কৃতজ্ঞতা আমার কোচিং স্টাফ, সকল খেলোয়াড়দের প্রতি। ফিজিও বায়েজিদ ভাই, শাহীন ভাই আপনারা দুজন বিশেষ আমার জন্য।
সমর্থকদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে হৃদয় বলেন, 'ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে, তারা আমাদের ও ভালোবাসে জানি। ভালো খেললে তালি দেয়, আমরা খারাপ করলে তাদের ভেতরেও হতাশা কাজ করে। সত্যি বলতে ভক্তদের এই পজিটিভ-নেগেটিভ ফিডব্যাক দুটোই হোক আমাদের শক্তি। ধন্যবাদ মহান রাব্বুল আলামিনকে, ধন্যবাদ ফরচুন বরিশালের সকল সদস্যকে, ধন্যবাদ আমাদের সকল সমর্থককে।'
বরিশালের পুরো সাপোর্ট স্টাফও রেখেছিল তার উপর ভরসা, এত প্রত্যাশা থাকার পরেও, পুরো টিমের সবাই প্রতিনিয়ত আমাকে বুঝিয়েছেন, সবই স্বাভাবিক, হৃদয় রানে ফিরবেই! কৃতজ্ঞতা আমার কোচিং স্টাফ, সকল খেলোয়াড়দের প্রতি। ফিজিও বায়েজিদ ভাই, (সহকারী কোচ) শাহীন ভাই, আপনারা দুজন বিশেষ আমার জন্য।
্তুক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে, তারা আমাদেরও ভালোবাসে, জানি। ভালো খেললে তালি দেয়, আমরা খারাপ করলে তাদের ভেতরেও হতাশা কাজ করে। সত্যি বলতে, ভক্তদের এই পজিটিভ-নেগেটিভ ফিডব্যাক দুটোই হোক আমাদের শক্তি। ধন্যবাদ মহান রাব্বুল আলামিনকে, ধন্যবাদ ফরচুন বরিশালের সকল সদস্যকে, ধন্যবাদ আমাদের সকল সমর্থককে।
হৃদয়ের রানে ফেরা বরিশালের জন্য স্বস্তির। ফাইনালের মঞ্চে তিনি জ্বলে উঠলে শিরোপা ধরে রাখা সহজ হবে দলটির। বাংলাদেশ দলও এতে আশাবাদী হতে পারে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছন্দে থাকা হৃদয়কে দরকার বাংলাদেশেরও।