ঢাকাকে হারিয়ে পেস্ন-অফে খুলনা বিদায় দুর্বার রাজশাহীর

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে উইকেট পাওয়ায় মেহেদী হাসান মিরাজকে ঘিরে খুলনার সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা -ওয়েবসাইট
খুলনার বিপক্ষে শনিবার বিপিএলের ম্যাচ শুরুর আগে দুর্বার রাজশাহী ছিল পয়েন্ট টেবিলের চারে। খুলনা টাইগার্স হারলেই পেস্ন-অফ নিশ্চিত হতো রাজশাহীর। তবে খুলনা পা পিছলে পড়েনি। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেরা চারে উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। গ্রম্নপপর্ব শেষে খুলনা আর রাজশাহীর পয়েন্ট সমান ১২। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় খুলনা উঠে গেছে চারে, নিশ্চিত করেছে পেস্ন-অফ। আর এক ধাপ নিচে নেমে বিদায় নিতে হয়েছে রাজশাহীকে। পেস্ন-অফ নিশ্চিত করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্পই ছিল না খুলনা টাইগার্সের সামনে। এমন সমীকরণে জ্বলে উঠলেন দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। তাতেই দারুণ এক জয় পায় দলটি। একই সঙ্গে শেষ চারও নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রম্নপ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে মিরাজের দল। বিদায় নেয় দুর্বার রাজশাহী। আর এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হলো খুলনার। তবে সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ছিল রাজশাহীরও। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে থাকায় পেস্ন-অফে জায়গা পায় খুলনাই। একই সঙ্গে পেস্ন-অফের চারটি দলও নিশ্চিত হয় খুলনার জয়ে। তবে দিনের শেষ ম্যাচে নির্ধারিত হবে কারা খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং কারা খেলবে এলিমিনেটর রাউন্ড। এদিন লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না খুলনার। প্রথম দুই ব্যাটসম্যানই ফিরে যান খালি হাতে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ, যিনি আগেওর ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন, তাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর আফিফ হোসেনকেও ছাঁটাই করেন কাটার মাস্টার। এরপর আলেক্স রসের সঙ্গে ৪৩ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। আর উইলিয়াম বোসিস্টোর সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় খুলনা। এরপর মোহাম্মাদ নাওয়াজকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়। রস ২২ এবং বোসিস্টো ১৮ রান করেন। ঢাকার পক্ষে ১৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তবে এদিন টস জিতে এগে ব্যাটিং বেছে নেয় ঢাকা। ওপেনার তানজিদ হাসান ছাড়া আর কেউই তেমন দায়িত্ব নিতে না পারায় সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে। এক প্রান্ত আগলে লিটন দাস, হাবিবুর রহমান সোহান ও ফারমানউলস্নাহ আলীর সঙ্গে যথাক্রমে ২৯, ২৪ ও ২৮ রানের তিনটি জুটি গড়েন তানজিদ। মূলত তানজিদের ব্যাটে ১২ ওভারেই ২ উইকেটে ৮১ রান তুলেছিল ঢাকা। কিন্তু এই ওপেনারের বিদায়ের পর ধস নামে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপে। আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করতে সাতটি উইকেট হারায় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ। ৩৭ বলের ইনিংস ছক্কা মেরেছেন ৭টি। সঙ্গে রয়েছে একটি চারের মার। সাব্বির রহমান করেন ২০ রান। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মেহেদী হাসান রানা (১৩) এবং লিটন (১০)। খুলনার পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও উইলিয়াম বোসিস্টো। সংক্ষিপ্ত স্কোর ঢাকা ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১২৩/৯ (তানজিদ ৫৮, লিটন ১০, হাবিবুর ৩, শাফি ৭, সাব্বির ২০, পেরেরা ০, রিয়াজ ৫, রহমতউলস্নাহ ০, মেহেদি ১৩, আবু জায়েদ ১*, মুস্তাফিজ ১*; নাসুম ২-০-২০-১, হাসান ৪-১-৫-২, মিরাজ ৪-০-৩০-১, মুশফিক ২-০-৩১-১, বসিস্টো ৪-০-১০-২, জিয়াউর ২-০-১০-১, নাওয়াজ ২-০-১৫-১) খুলনা টাইগার্স: ১৬.৫ ওভারে ১২৮/৪ (মিরাজ ৭৪*, নাঈম ০, আফিফ ০, রস ২২, বসিস্টো ১৮, নাওয়াজ ৬*; মুস্তাফিজ ৪-০-১৬-৩, আবু জায়েদ ২.৫-০-১৮-০, রহমতউলস্নাহ ৪-০-২৪-১, মেহেদি ২-০-২১-০, শাফি ৪-০-৪৭-০) ফল: খুলনা টাইগার্স ৬ উইকেটে জয়ী ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ