ইউরোপায় শীর্ষ আটে ম্যানইউ ও টটেনহ্যাম

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
উয়েফা ইউরোপা লিগে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করে উচ্ছ্বসিত টটেনহ্যামের খেলোয়াড়রা -ওয়েবসাইট
উয়েফা ইউরোপায় রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির শেষ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো ইউরোপার শেষ রাউন্ডের রাতেও ফুটবল বিশ্ব আরেকবার ১৮ ম্যাচের মহরণের সাক্ষী হলো। তবে বড় দলগুলো আগেই পেস্ন-অফ নিশ্চিত করে ফেলায় এদিন রাতের ম্যাচগুলো ঘিরে উত্তেজনা কিছুটা কম ছিল। এবারের ইউরোপা খেলা সবচেয়ে বড় দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শীর্ষ আটে থাকায় সরাসরি খেলবে শেষ ষোলো। আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারও সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ৩২ দলের রবিন রাউন্ড পদ্ধতির লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে স্টুয়া বুখারেস্টকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর নড়েচেরে বসে রেড ডেভিলরা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে প্রথমে গোল করেন পর্তুগিজ ফুলব্যাক দিয়াগো ডালট। ৮ মিনিট পর ম্যাচের দ্বিতীয় ও শেষ গোলটি করেছেন কোবি মাইনু। এই ম্যাচ জিতে ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউনাইটেড। আরেক ইংলিশ ক্লাব স্পার্স প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকলেও জয়ের দেখা পেয়েছে মহাদেশীয় দ্বিতীয় স্তরের এই আসরে। ড্যান স্কারল্যাট, ডামোলা এজাই এবং মিকি মুরের গোলে এলফসবোর্গের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা। এই জয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যাম শেষ করেছে চার নম্বরে থেকে। টেবিলের শীর্ষ স্থানটি অবশ্য লাৎসিওর। যদিও বৃহস্পতিবার রাতে ইতালিয়ান ক্লাবটি ১-০ গোলে হেরে গেছে ব্রাহার কাছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ২৫ নম্বরে থাকায় এই জয়ের ফলেও আসর থেকে বাদ পড়েছে পর্তুগিজ ক্লাব ব্রাহা। অন্যদিকে প্রথম সাত ম্যাচে অপরাজিত থাকা লাৎসিও শেষ ম্যাচে হোঁচট খেয়েও, টেবিল অবস্থানে কোন পরিবর্তন হয়নি তাদের। টেবিলের তৃতীয় স্থানটি স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের। ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর কয়েকটি অবশ্য সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট আদায় করতে পারেনি। যে তালিকায় এএস রোমা, আয়াক্স, পোর্তো ও রিয়াল সোসিয়েদাদের মতো ক্লাবগুলো। পেস্নুঅফ জিতেই শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করতে হবে তাদের। শীর্ষ আটে থাকা ক্লাব গুলো সরাসরি শেষ ষোলোতে খেল্বে। এই তালিয়ায় আছে, লাৎসিও, অ্যাথলেটিক বিলবাও, ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, লিও, অলিম্পিয়াকোস ও রেঞ্জার্স।