বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

প্রয়াত বাবাকে জয় উৎসর্গ করলেন স্মৃতিকাতর জাকের আলী

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রয়াত বাবাকে জয় উৎসর্গ করলেন স্মৃতিকাতর জাকের আলী
জাকের আলী অনিক

অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছাড়াই ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ দল। জ্যামাইকা টেস্টে স্বাগাতিকদেরকে ১০১ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ের পেছনে অন্যতম কারিগর জাকের আলী অনিক। দ্বিতীয় ইনিংসে তার খেলা ১০৬ বলে ৯১ রানই মূলত বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়। বাংলাদেশের দারুণ জয়ের পর প্রয়াত বাবাকে নিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন জাকের আলী।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে সর্বশেষ যখন বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ জিতে তখন জাকের ১১ বছরের কিশোর। রাত জেগে সেবার তিনি দেখেছিলেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়। ১৫ বছর পর এবার তিনি নিজেই বাংলাদেশের জয়ে রাখলেন বড় ভূমিকা, তার খেলা দেখতে রাত জাগলেন আরও অনেকে। জ্যামাইকার কিংসটনের স্যাবাইনা পার্কে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ দলের জন্য আরেকটি সুখের দিন (বলা ভালো রাত)। ওয়েস্ট

ইন্ডিজ এখন বিশ্ব ক্রিকেটে প্রথম সারির দল না হলেও তাদের ঘরের মাঠে যথেষ্টই শক্তিশালী। গত তিন সফরে বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ হয়ে

ফেরাও যার প্রমাণ রাখে। হবিগঞ্জে জন্ম নেওয়া জাকের ছোট থেকেই ক্রিকেটপাগল। ২০১০ সালে ভয় ভয় কণ্ঠে বড় ভাই অপুকে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের কথা জানান তিনি। বড় ভাই নিজে ক্রিকেটার হওয়ায় ছোট ভাইয়ের আবদার ফেলে দেননি। বাবাও খুব একটা বাধা দেননি। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে জাতীয় দলে খেলবে। কিন্তু সেই জাকের এখন জাতীয় দলে খেললেও বাবা আর বেঁচে নেই। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টেস্ট জয়ের পর প্রয়াত বাবাকেই স্মরণ করলেন জাকের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে বাংলাদেশ সর্বশেষ যখন টেস্ট ম্যাচ জেতে জাকের আলীর বয়স ১১ বছর। রাত জেগে সেবার তিনি দেখেছিলেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়। ১৫ বছর পর এবার তিনি নিজেই বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ছয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের ১০৬ বলে ৫ ছক্কায় করেছেন ৯১ রান। তার ব্যাটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে ১০১ রানে জিততে পারে বাংলাদেশ দল।

অর্জনের দিনে জাকের মনে করলেন, ২০০৯ সালের স্মৃতি। সেবার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বেই প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। তরুণ ব্যাটসম্যান জাকের নিজের প্রয়াত বাবাকে এই টেস্ট জয় উৎসর্গ করে ফেসবুকে আবেগময় পোস্ট লিখেছেন, 'তখন আমার বয়স ১১। ২০০৯ সালের সেই সিরিজের একটা ম্যাচও মিস করি নাই, সারারাত জেগে বাংলাদেশের খেলা দেখতাম। আব্বা ভোর রাতে উঠে দেখে খেলা দেখছি। অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল, কিন্তু কোনো বকা দিল না। ১৫ বছর পর একই সিরিজে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলছি। আব্বা বেঁচে থাকলে হয়তো রাত জেগে খেলা দেখতেন। যাই হোক, এটা আব্বা তোমার জন্য।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে