সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এর আগে কয়েকবার সিরিজসেরা হলেও টেস্ট ক্রিকেটে এমন অর্জন ছিল না তাসকিন আহমেদের। জ্যামাইকা টেস্টে সেই আক্ষেপও দূর হয়েছে। দুই টেস্টে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন তাসকিন। সেরা হয়ে দারুণ খুশি তিনি। এমন উচ্ছ্বাসের কারণ মূলত সাফল্যটা টেস্ট ক্রিকেট বলেই।
বিসিবির তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে থাকলেও গত ফেব্রম্নয়ারিতে তাসকিন বোর্ডকে জানান, আপাতত টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চান। কাঁধের চোট গুরুতর হয়ে যাতে অস্ত্রোপচারের দিকে ঠেলে না দেয়, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত। তবে তার সেই বিরতি খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। গত আগস্টে পাকিস্তান সফর দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি।
জ্যামাইকা টেস্ট জয়ের পর তাসকিন বলেছেন, 'এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দল ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের পর কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়াতে মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।'
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, 'দুটি ম্যাচেই আমি সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং আলস্নাহ তায়ালা আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজ হিসেবে। আশা করি, মেনি মোর টু কাম। কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে (অবস্থা)। এমন আরও অর্জন হবে সামনে।' ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চোট যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছিল তাসকিনের। সেই চোটের সঙ্গে লড়াই করে তাসকিন একের পর এক সাফল্য তুলে এনেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে খুব ভালো না করলেও ভালো কাছাকাছি ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে দারুণ পারফর্ম করে সেই আক্ষেপ দূর করে ফেলেছেন দেশের সেরা এই পেসার। প্রথমবার সিরিজ সেরা হয়ে তাসকিন জানিয়েছেন এটাতো কেবল শুরু, 'আমি খুবই খুশি। যদিও কাজটা সহজ ছিল না। কাঁধের অবস্থা বাজে ছিল। স্রষ্টার কৃপায় এখন টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেটি এখন ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে।'