গত ২৫ অক্টোবর কাতারের দোহাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের (এফআইজি) ৮৫তম কংগ্রেস। উক্ত কংগ্রেসে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভোট প্রদান করেছেন। জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শেখ বশির আহমেদ, বর্তমান সহসভাপতি আহমেদুর রহমান বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উক্ত কংগ্রেসে যোগদান করেন।
জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে অভিযোগ তুলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছেন সাবেক জিমন্যাস্ট ও কোচ মোহাম্মদ কাওছার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক কোচ তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন, গত অক্টোবরে দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে। অথচ ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে তারা অবৈধভাবে যোগদান করেছেন। এই কংগ্রেসে যোগদানের জন্য সরকারি অনুমতি (জিও)
নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গত ২৩ নভেম্বর।
এদিকে কংগ্রেসে অংশগ্রহণকারী জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সহসভাপতি আহমেদুর রহমান যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের কংগ্রেসে বাংলাদেশের পক্ষে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেছে। এই সফরের জন্য গত ২১ অক্টোবর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে জিও নেওয়া হয়েছে। জিওতে দুই কর্মকর্তার নামই রয়েছে। জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের অপসারণকৃত সভাপতি শেখ বশির আহমেদসহ বর্তমান কমিটিকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যিনি অভিযোগ করেছেন, ক্রীড়াঙ্গনে তার অতীতও ভালো নয়।