শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

আইপিএল নিলামে উপেক্ষিত বাংলাদেশিরা

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আইপিএল নিলামে উপেক্ষিত বাংলাদেশিরা

আগামী বছর মার্চে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ১৮তম আসর। এর আগে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইপিএলের মেগা নিলাম। যেখানে দল পাননি বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।

কেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা উপেক্ষিত আইপিএল মেগা নিলামে? উত্তরের খোঁজে পুরো দেশ। কেউ দেখছেন প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক দূরত্ব। কারও চোখে ক্রিকেটারদের মান ও সুযোগ পেয়েও অতীতে প্রমাণ করতে না পারা। আর তার সঙ্গে আছে দেশের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততায় পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে বিসিবির অনুমতি না দেওয়া। শেষ কবে বাংলাদেশিদের ছাড়া হয়েছে আইপিএল? খুঁজতে গেলে ফিরতে হবে ১৪ বছর পেছনে। সবশেষ ২০১০ সালে।

১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে মেগা নিলামে ১৮২ খেলোয়াড় কিনতে খরচ করল ৯২০ কোটি রুপি। অথচ ৩০ লাখ থেকে দুই কোটি রুপির ১২ বাংলাদেশির কেউই দল পেল না। আইপিএল'র সঙ্গে যার সম্পর্কটা সবচেয়ে বেশি সেই সাকিব আল হাসানের নামই ওঠেনি নিলামে। মুস্তাফিজ ও রিশাদের নাম উঠেছিল, কিন্তু আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

আইপিএল-এ কেন উপেক্ষিত বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা? ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় সাকিব-মুস্তাফিজ ছাড়া বাকিদের অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো না। খেলতে গিয়ে অপর্যাপ্ত সুযোগ কিংবা ম্যাচের পর ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসে থাকা টাইগার ক্রিকেটাদের নিয়মিত ঘটনা। মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি, আব্দুর রাজ্জাক, তামিম ইকবাল কিংবা গত আসরের লিটন দাস সবার গল্প এক। আবার যখন সুযোগ পেয়েছেন তখন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। কলকাতার হয়ে এক ম্যাচে শেষ ওভারে ২৬ রান দিয়ে মাশরাফির ডোবানো কিংবা আশরাফুলের ১০ বলে ২ রান করা তারই উদাহরণ।

তবে মুস্তাফিজ আর সাকিবের ব্যাপারটা আলাদা। গেল আসরে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। মাহেন্দ্র সিং ধোনীর সঙ্গে বোঝাপড়াটাও প্রকাশ পেয়েছে প্রায় প্রতি ম্যাচে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ ৯ আসরে অংশ নেওয়া সাকিব নিঃসন্দেহে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও আইপিএলের বড় বিজ্ঞাপন। তবুও এ দুই ক্রিকেটার দল না পাওয়ায় হতাশ বাংলাদেশিরা।

তাদের চোখে ক্রিকেটীয়'র চেয়ে রাজনৈতিক কারণটাই বড়। নানা ইসু্যতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে শীতল। ভারত সফরে বাংলাদেশের ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছিল ভারতের কট্টরপন্থি সংগঠন হিন্দু মহাসভা। তাই বাংলাদেশি ক্রিকেটার নিলে ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকিও ছিল।

আবার বিসিবির অসহযোগিতাও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইপিএলের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচি প্রায় সময়ই সাংঘর্ষিক। পুরো মৌসুমের জন্য অনাপত্তিপত্র দিতে চায় না বোর্ড। তাসকিন আহমেদ দু'বার দল পেয়েও বিসিবির বাধার কারণে আইপিএল খেলতে পারেননি। আর এবার তো দলই পেলেন না কেউ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের শীর্ষ টুর্নামেন্ট থেকে ছেদ পড়ল বাংলাদেশের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে