টেস্টে দীর্ঘ ১৬ মাস কোনো সেঞ্চুরি ছিল না বিরাট কোহলির। হচ্ছিলেন সমালোচিত। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ফিরেছিলেন মাত্র ৫ রানে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাহাড় গড়ার দিনে ঠিকই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের পর সেঞ্চুরি হাঁকালেন তারকা ব্যাটসম্যান কোহলি। ১৫ ইনিংসের ব্যবধানে তিনি শতরান স্পর্শ করতেই ইনিংস ঘোষণা করল ভারত।
আর তাতে পার্থ টেস্টে জয়ের জন্য ৫৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য সামনে পেল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রীতিমতো কাঁপছে তারা। পার্থে রোববার সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের লিড ছিল তাদের। সব মিলিয়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৩ রান।
কোহলির সেঞ্চুরির পরই ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করছে ভারত। ৫৩৪ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য দিয়ে তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়ে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে তারা। জাসপ্রিত বুমরাহর জোড়া আঘাতে ৪.২ ওভারে মাত্র ১২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে অজিরা। ওপেনার উসমান খাজা অপরাজিত আছেন ৯ বলে ৩ রানে। আগামী দুই দিনে আরও ৫২২ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের। জিততে হলে অবশ্য গড়তে হবে রেকর্ড। টেস্ট ইতিহাসে রান তাড়ায় সর্বোচ্চ জয়ের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। তারা ২০০৩ সালে অজিদের বিপক্ষেই ৪১৮ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছুটে জিতেছিল।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাঁহাতি জয়সওয়াল খেলেন ১৬১ রানের ইনিংস। ২৯৭ বল মোকাবিলায় ১৫ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২০১ রানের। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। রাহুল ১৭৬ বলে ৫ চারের সাহায্যে করেন ৭৭ রান। ডানহাতি কোহলি স্বাদ নেন এই সংস্করণে ৩০তম সেঞ্চুরির। তিনি অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রানে। ১৪৩ বল খেলা কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ২ ছক্কা। এই সংস্করণের ক্রিকেটে অজিদের মাঠে কোহলির এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। ভারতের আর কোনো ব্যাটারের এতগুলো শতক নেই অস্ট্রেলিয়ায়। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি ছিল ছয়টি।