অস্ট্রেলিয়াকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার পর দুর্দান্ত ব্যাট করলেন যশভি জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল। ভারতীয় দুই ওপেনার অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে নিয়ে গেছেন শক্ত অবস্থানে। পার্থে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে চালকের আসনে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট হাতে রেখে ২১৮ রানে এগিয়ে গেছে তারা?
ব্যাট হাতে প্রথম দিনের ব্যর্থতা কী দারুণভাবেই না কাটিয়ে উঠলেন যশভি জয়সওয়াল। চমৎকার ব্যাটিংয়ে নব্বইয়ের ঘরে অপরাজিত থেকে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করলেন তিনি। তার সঙ্গে লোকেশ রাহুলের উদ্বোধনী জুটির চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায়, অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে, বড় লিডের পথে ছুটছে ভারত।
পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্রেফ ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া সফরকারীরা দ্বিতীয়ভাগে কোনো উইকেট না হারিয়েই করে ফেলেছে ১৭২ রান। স্বাগতিকদের ১০৪ রানে গুটিয়ে লিড নেওয়ার পর, মোট ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার আক্ষেপ এবার মিটিয়ে দিলেন জয়সওয়াল। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২ ছক্কা ও ৭ চারে ১৯৩ বলে ৯০ রান নিয়ে খেলছেন।
রাহুল প্রথম ইনিংসেও দেখান দৃঢ়তা; কিন্তু সেবার পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। এবার ১৫৩ বলে স্রেফ ৪টি চার মেরে ৬২ রানে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ায় একই ইনিংসে দুই ভারতীয় ওপেনারের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের দেখা মিলল ৩৮ বছর পর। সবশেষ ১৯৮৬ সালে এক টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন সুনিল গাভাস্কার (১৭২) ও কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত (১১৬)।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ১৫০ রানের জবাবে জাসপ্রিত বুমরাহর ঝাঁজে অস্ট্রেলিয়া ১০৪ রানে গুটিয়ে গেলে বিনা উইকেটে ১৭২ রান তুলে দিন শেষ করেছে। জয়সওয়াল ১৯৩ বলে ৯০ ও রাহুল ১৫৩ বলে ৬২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। আগের দিনের ৭ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম সেশনের প্রায় পুরোটাই ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। তবে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেনি তারা। দিনের শুরুতেই আলেক্স কেয়ারিকে আউট করে পঞ্চম উইকেট নেন বুমরাহ। অভিষিক্ত পেসার হারশিত রানা দ্রম্নত ফেরান ন্যাথান লায়নকে। এরপর জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পার করে দেন মিচেল স্টার্ক। লাঞ্চের খানিক আগে স্টার্ককে আউট করে ইনিংস মুড়ে দেন হারশিত।
এরপর দিনের বাকিটা সময় অস্ট্রেলিয়ানদের হতাশায় পোড়ান জয়সওয়াল-রাহুল। সময় নিয়ে ক্রিজে থিতু হন তারা। এই দিনের ব্যাট করার জন্য উইকেট বেশ ভালোই আচরণ করে। উইকেটে থিতু ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা হয়ে যায় সহজ। ৫৭ ওভার বল করে ৭ বোলার ব্যবহার করেও সাফল্য পায়নি প্যাট কামিন্সের দল। আরও তিন দিন বাকি থাকায় বিশাল একটা লিড চাপিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অসম্ভব এক রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ দেওয়ার সুযোগ এখন ভারতের সামনে।