১৮ বছর পর শুক্রবার অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে মাঠে নামে এক নতুন বাংলাদেশ। কারণ মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ১১ জনের যে দলটি অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে খেলছে, সেই দলে নেই 'পঞ্চ পান্ডবের' কেউ -ওয়েবসাইট
একদিকে প্রত্যাশা, অন্যদিকে চাপ। অ্যান্টিগা টেস্টের আগে বাংলাদেশ দলের অবস্থা এমন। প্রতিটি সিরিজ শুরুর আগে দলের ওপর প্রত্যাশা থাকে। কখনো তা প্রাপ্তিতে পরিণত হয়, কখনো হতাশায়। সর্বশেষ দুটি সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তরা পেয়েছে হতাশা। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পর পর সিরিজ হার, টানা চার ম্যাচে পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের দৈন্যতা। নূ্যনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি একটি ম্যাচেও।
তিক্ততায় ভরা দুটি সিরিজ শেষে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা নিজেরাও তাদের শেষ সিরিজে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। বাংলাদেশের মতো সেই হার ঘরের মাঠে। ঘরে হেরে বাংলাদেশ এখন পরের বাড়িতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে শুরু হয়েছে প্রথম টেস্ট। যে ম্যাচে প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম টেস্ট ম্যাচেই সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ৫০টি টেস্ট খেলার অর্জন গড়েছেন মিরাজ। সেই ২০০০ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটের বনেদি ক্লাবে ঢুকেছে বাংলাদেশ। এরপর মাত্র সাত জন খেলোয়াড় খেলেছেন ৫০ কিংবা তার বেশি টেস্ট। সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা নিঃসন্দেহে বড় অর্জন।
এমন দিনে মাঠে নামার সময় তার সামনে চাপের বোঝা। চোটের কারণে নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তা ছাপিয়ে আরেকটি বড় ব্যাপার হচ্ছে, এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করছে পঞ্চপান্ডবহীন টেস্ট যুগে। এর আগে তাদের ছাড়া দুটি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ (২০২২ ও ২০২৪ সালে), তবে অন্তত স্কোয়াডে ছিলেন কেউ না কেউ! পঞ্চপান্ডবের কেউ নেই স্কোয়াডে, ২০০৯-এর পর এবারই প্রথম হচ্ছে সেটি। মিরাজ পরামর্শ নেওয়ার মতো সিনিয়র কাউকেই প্রায় পাচ্ছেন না!
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে অনেক প্রতিবন্ধকতা। পঞ্চপান্ডব নেই, অধিনায়ক শান্ত নেই, টানা হারের গস্নানি, ব্যর্থতা বলে শেষ করা যাবে না। তবু মানুষ আশায় বাঁচে। আশা করা ছাড়া উপায়ই বা কী!