ফরম্যাট যাই হোক, ক্যারিবিয়ান দ্বীপের ভেনু্য অ্যান্টিগা মানেই বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্প। নিজেদের ইতিহাসে টেস্টে সর্বনিম্ন রানে অল আউটের লজ্জা আছে এই ভেনু্যতেই। এবার অন্তত সেই বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ টাইগারদের। স্কোর বড় করার দায়িত্ব নিতে হবে তরুণদের।
এন্টিগা যেন নৈসর্গিক। প্রতিদিন একটি করে দেখলেও শেষ হবে না দেশটির সমুদ্র সৈকত। স্যার ভিভ রিচার্ডস, কার্টলি এমব্রোসের মতো কিংবদন্তিদের উঠে আসা এই এন্টিগা থেকে। কিংবদন্তি ভিভের নামেই নামকরণ অ্যান্টিগার ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
অবশ্য তিনি কখনো এ মাঠে খেলেননি। তবে নর্থ সাউন্ডের গ্যালারিতে দেখা যায় তাকে। ২০০৭ বিশ্বকাপ ঘিরে তৈরি হয় স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়াম। সমুদ্রের বেশ কাছাকাছি হওয়ায় প্রবাহিত হিম বাতাস। যা প্রভাব ফেলে বলের গতি আর সুইংয়ে।
২০১০ সালে ঝড়ো বাতাসের কারণে অস্থায়ী টেন্ট উড়ে গিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে পড়েছিল। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ বলের মধ্যে। বাজে পিচের কারণে এই খেলা পরবর্তীতে গড়ায় বার্বাডোজে।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে টাইগারদের ভয় এ মাঠেই সবচেয়ে বেশি। তিন ফরম্যাটের ছয় ম্যাচে এখানে কখনো জিততে পারেনি টিম বাংলাদেশ। টাইগারদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৪ টি২০'র বিশ্ব আসরে অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে।
এখানকার উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। প্রথম দু'দিন বোলারদের জন্য সুবিধা থাকলেও ব্যাটাররা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে ম্যাচ। তৃতীয় ও চতুর্থ দিন উইকেট ধীরে ধীরে স্স্নো হয় এবং স্পিনারদের জন্য কার্যকরী হয়ে উঠে। সাধারণত পঞ্চম দিন উইকেট ভাঙতে শুরু করে।
টেস্টে অ্যান্টিগায় সর্বোচ্চ রান ভারতের ৫৬৬। আর সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর তো আগেই বলা বাংলাদেশের। এবার সেখানে হাসি ফোটাতে পারবে টাইগাররা? উত্তরটা সময়ের হাতেই রইল।