মার্টিনেজের গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সর্বশেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে হারের ধাক্কা খেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এক ম্যাচ পরেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যদিও মেসি-আলভারেসদের আক্রমণে সেই চিরচেনা ধার চোখে পড়ল না। অধিকাংশ সময় প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রেখেও যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারল না আর্জেন্টিনা। তবে, মুহূর্তের ঝলকে ব্যবধান গড়ে দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তার দুর্দান্ত এক গোলে পেরুর বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয় পেল কোপা আমেরিকার শিরোপাধারীরা।
বুয়েন্স আয়ার্সে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। এক ম্যাচ পর ফের জয়ের পথে ফিরল মেসিরা। পুরো ম্যাচে ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১০টি শট নিতে পারে আর্জেন্টিনা, এর তিনটি কেবল ছিল লক্ষ্যে। অবশ্য পুরোটা সময় কোণঠাসা থাকা পেরু স্বাগতিক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি। এদিনের এই জয়ে ১২ ম্যাচে আট জয় ও এক ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত হলো আর্জেন্টিনার। আর সমান ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া পেরু ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দশম স্থানে।
বাছাইয়ে প্রথম দেখায় পেরুর মাঠে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল আর্জেন্টিনা, দুটি গোলই করেছিলেন লিওনেল মেসি। আর গত জুনে কোপা আমেরিকায় গ্রম্নপ পর্বে লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে একই ব্যবধানে জিতেছিল লিওনেল স্কালোনির দল। পরে আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। সবশেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের ধাক্কা সামলে জয়ের পথে ফেরার অভিযানে নেমেই আক্রমণ শুরু করে আর্জেন্টিনা। যদিও প্রতিবার আক্রমণে গিয়ে শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলছিল মেসি-মার্টিনেজরা।
তাই তো বিরতির আগ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখেও গোলের জন্য মাত্র ছয়টি শট নিতে পারে, তার মধ্যে কেবল একটি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে পেরু উলেস্নখযোগ্য কোনো আক্রমণই শাণাতে পারেনি, নিতে পারেনি কোনো শট। দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে না দাঁড়ালে অবশ্য ২২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা; কিন্তু হুলিয়ান আলভারেসের শট পোস্টে লাগে। প্রথমার্ধে এই একবারই গোলের খুব কাছাকাছি যেতে পারে তারা। বিরতির আগে মেসির ফ্রি কিক ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে দলের অপেক্ষার অবসান ঘটান লাউতারো মার্টিনেজ। বাঁ দিক থেকে মেসির বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড। চাপের মুখে ভালো কোনো আক্রমণই শাণাতে পারেনি পেরু। ৬৬তম মিনিটে জানলুকা লাপাদুলা ও ৭৫তম মিনিটে সের্হিও পেনা দূর থেকে শট নিলেও, কোনোটাই লক্ষ্যের ধারেকাছেও ছিল না।