ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবার স্বপ্নের সিরিজের প্রত্যাশায় রাজ্জাক
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
গত আগস্ট মাসে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের উপর তেমন একটা প্রত্যাশা কেউ রাখেনি। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাকিস্তানের মাঠে পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কন্ডিশন বিচারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা ভীষণ কঠিন হলেও স্বপ্নের মতন একই ফল প্রত্যাশা করছেন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করার পর বাংলাদেশ দলের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। এরপর ভারতে গিয়ে টেস্ট ও টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আসে দল। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টেও পাত্তা পাননি শান্তরা। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে আফগানিস্তানের কাছেও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছেন তারা। একের পর এক হারে আগস্ট মাসে পাকিস্তান সফরের মধুর স্মৃতিটাই এখন ফিকে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফের ভালো সময়টা ফেরাতে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে এমন কথাই বললেন রাজ্জাক, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ টু্যরে আমাদের প্রত্যাশা বললে তো ভালো প্রত্যাশাই থাকবে। অবশ্যই টেস্ট ম্যাচ জেতার চিন্তা, শুরু অন্তত করতে পারি টেস্ট ম্যাচ জিতব বলে। সব সময় যে ক্লিক করে সেটা না। আমি আশা করব, প্রত্যেকটা বিভাগ জ্বলে উঠবে। যেমন পাকিস্তানে স্বপ্নের মতন টেস্ট সিরিজ খেলেছি। আমি আশা করব, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওভাবেই খেলে দেশে ফিরব বিশেষ করে টেস্ট সিরিজ।'
২২ নভেম্বর অ্যান্টিগায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট। ৩০ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় টেস্ট হবে জ্যামাইকায়। অ্যান্টিগা ও জ্যামাইকা দুইটাই পেস বান্ধব বাড়তি বাউন্সের গতিময় উইকেট। সেখানে বাংলাদেশের রেকর্ডও ভালো না। ক্যারিয়ান পেসারদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। এই সিরিজে বাংলাদেশ আবার পাচ্ছে না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও নিয়মিত অধিনায়ক শান্তকে। রাজ্জাকদের প্রত্যাশা মেহেদী হসান মিরাজরা কতটা পূরণ করতে পারেন দেখার বিষয়।
১৯ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ফরহাদ জাতীয় লিগের চলতি মৌসুমে ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় দলে খেলা ইমরুল কায়েসও লংগার ভার্সন ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। শুধু তারাই নন, তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও এখন আর খেলছেন না। এর আগেও ইনজুরি কিংবা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে সাকিবের বিকল্প বের করতে ঘাম বেরিয়ে গেছে টিম ম্যানেজমেন্টর। মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল কিংবা মাহমুদউলস্নাহদের নিয়ে যতই সমালোচনা থাকুক না কেন, তাদের বিকল্পও কেউ হতে পারেননি।
এই বাস্তবতা স্বীকার করে নিলেন। নির্বাচক প্যানেলের সদস্য রাজ্জাক, 'যদি কোনো ক্রিকেটার ১৫-২০ বছর ক্রিকেট খেলে চলে যায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে ওই ক্রিকেটারের বিকল্প পাওয়া একটু মুশকিল। এটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মনে করি। তারপরও আমাদের দেশে যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে। আমি খুব আশাবাদী তাদের নিয়ে। এখান থেকে গেলে তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ওই লেভেলটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরেকটু সময় লাগবে ওদের।'