টাকার লোভ দেখিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অন্যদের একত্র করছে ভারত!

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
পাকিস্তান অনড়। নিজ অবস্থানে অনড় ভারতও। এতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ এখনো ঝুলন্ত। ২০২৫ সালে আইসিসির বড় আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষণার শেষ সময় ১৯ নভেম্বর। এর মাঝেও অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ট্রফি টু্যর। পাকিস্তানে আইসিসির আসর ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আছে ব্যাপক আকারের শঙ্কা। একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে আগ্রহী নয়, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আকারের দড়ি টানাটানি। পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন চির বৈরী দুই দেশের রাজনীতির ক্রিকেটে নাক গলানোর এটা আরেক উদাহরণ। প্রায় এক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ। কেবল মাত্র বৈশ্বিক আসরেই দেখা হয় তাদের। এবার সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। ভারতের প্রস্তাবনা ছিল, হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হোক এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু পাকিস্তান এমন প্রস্তাবেও নারাজ। দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের মাঝেই পাকিস্তানি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে লাইনচু্যত করার জন্য গোপন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশগুলোকে হাইব্রিড মডেলে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিসিসিআই প্রকাশ্যে নিরাপত্তা ইসু্যকে কারণ হিসেবে উলেস্নখ করলেও তারা গোপনে অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে হাইব্রিড মডেল অথবা টুর্নামেন্টটি ভারতে স্থানান্তরের জন্য সমর্থন দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। বিসিসিআই আইসিসি'র আয়ের একটি অংশ এবং অতিরিক্ত আর্থিক প্রণোদনা এবং ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারতীয় দলের সঙ্গে অতিরিক্ত ম্যাচের প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে বোর্ডগুলোকে আকর্ষণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আইসিসি কর্মকর্তারা বিসিসিআইসহ সব সদস্য বোর্ডের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। আইসিসি জোর দিয়ে জানিয়েছে, চূড়ান্ত সূচি সব অংশ্রহণকারী দল এবং বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত হবে। আর এটি কোনোভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কারণে প্রভাবিত হবে না। সবশেষ খবর অনুযায়ী, পিসিবি কর্মকর্তারা আইসিসি এবং বিসিসিআই'কে জানিয়েছেন যে, যদি ভারত পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে ভারতের বদলে একটি শক্তিশালী দল যুক্ত করে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট পরিচালিত হবে। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, ৮ দলের টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর কথা ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রম্নয়ারি। ৯ মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। দুই গ্রম্নপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। যেখানে 'এ' গ্রম্নপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। 'বি' গ্রম্নপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।