ইতালির বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিল ফ্রান্স

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়া খেলতে নেমেও সব লক্ষ্য পূরণ করে এখন প্রাপ্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত ফরাসিরা -ওয়েবসাইট
উয়েফা নেশন্স লিগের এবারের আসরে প্রথম দেখায় ইতালির কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। তাও নিজেদের ঘরের মাঠে। ৭২ দিন পর রোববার রাতে ফিরতি লেগে আবার ইতালির মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। এবার ইতালিকে তাদের ঘরের মাঠে সেই একই ব্যবধানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল ফ্রান্স। শুধু হারায়নি, এই জয়ে তারা টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালিকে টপকে 'এ২' গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা গ্রম্নপ পর্বের শুরুটা করল হেরে, আর শেষটা রাঙাল জয় দিয়ে। ৬ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ইতালিরও সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। কিন্তু তারা গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। আগামী বছরের মার্চে শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। দ্বিতীয় মিনিটেই কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে আসা বলে হেড নিয়ে জালে জড়ান ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার আদ্রিয়েনর্ যাবিওট। ৩৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্স এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এ সময় ডি বক্সের কিছুটা সামনে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। ফ্রি কিক থেকে আসা ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড নেনর্ যাবিওট। সেটা ক্লিয়ার করতে হেড নেন ইতালির গুগলিয়েলমো ভিকারিও। কিন্তু বল ক্লিয়ার না হয়ে তাদের জালে জড়িয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে একটি গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ইতালি। এ সময় বামদিক দিয়ে আক্রমণে উঠে গোললাইনের সামনে থেকে ফেদেরিকো ডিমারকো ক্রসে ভেতরে বল পাঠান। সেটাতে বাম পায়ে শটে নিয়ে জালে পাঠান আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো। বিরতির পর ৬৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ফ্রান্স। এ সময় ডি বক্সের বামদিকে ফ্রি কিক পায় তারা। ফ্রি কিক থেকে লুকাস ডিগনির ক্রস বক্সের ভেতরে আনমার্ক থাকার্ যাবিওটের মাথা খুঁজে পায়। তিনি হেড নিয়ে বল জালে জড়ান। শেষ পর্যন্তর্ যাবিওটের জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ম্যাচ শেষে গোলকিপার মাইক মিয়াঁর কণ্ঠে ফুটে ওঠে উচ্ছ্বাস, 'আমরা জিততে চেয়েছিলাম, প্রতিশোধের লক্ষ্যেই গিয়েছিলাম আমরা। ঘরের মাঠে ওদের কাছে ওভাবে হারার পর আমাদের গর্ব পুনরুদ্ধারের ব্যাপার ছিল।' গত বৃহস্পতিবার ইসরায়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচে ফ্রান্সের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল অনেক। এমবাপেকে দলে না রাখার আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় বিতর্কের প্রবাহ তো ছিলই। সবকিছুকেই পেছনে ফেলে এই জয়ের দেখা পেল ফ্রান্স। দুই গোলে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক আদ্রিয়েনর্ যাবিওট উচ্ছ্বসিত অনেক দিন পর দলকে মাঠে অপ্রতিরোধ্য চেহারায় দেখে, 'এ ধরনের একটা ম্যাচ খেলতে পারলাম আমরা দীর্ঘদিন পর। আমাদের লক্ষ্য ছিল দুই গোলের ব্যবধানে জেতা। আমাদের আগ্রাসন, দলীয় একতা ও উজ্জীবিত মনোভাব ছিল দারুণ।' এবার নেশন্স লিগের ম্যাচগুলোকে দল গড়ে তোলা, অনেক তরুণকে পরখ করার মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম। সেই পথচলায় এমন এক জয়ে দারুণ খুশি তিনিও, 'আমাদের স্কোয়াড খুবই তরুণ। অনেক ফুটবলারকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছি আমরা এবং আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ এক ইতালিয়ান দলকে এখানে হারাতে পারা মানে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।'