বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দিন কয়েক আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি। তবে শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশিত ভিডিওতে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে।
সালাউদ্দিন বলছিলেন, 'আমরা যারা বলি সাকিব, তামিম, মুশফিকরা একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে, ওটা যদি না ভাঙতে পারি, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোয়নি। (আমাদের কাজ) পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে, বড় হতে পারে। সেটা অসম্ভবও নয়। এখন খেলোয়াড়েরা মেন্টালি, ফিজিক্যালি ও আর্থিক দিক থেকে অনেক স্বাবলম্বী। যেটা হয়তো আগে ছিল না। এখন ভালো করার সুযোগ বেশি।'
এই কোচ আরো বলেন, 'এইচপি বা অনূর্ধ্ব-১৯-এর খেলোয়াড়দের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলে বলবে জাতীয় দলে খেলতে চাই। স্বপ্নটা কিন্তু ওখানেই থেমে গেল। জাতীয় দলে খেললে এরপর কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সেটা তারা জানে না। যারা এতদিন খেলছি, তাদের আসলে কী ধরনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, মেন্টালিটি হওয়া উচিত, কীভাবে আরও বড় খেলোয়াড় হওয়ার জন্য নিজেকে মোটিভেট করা উচিত, এই ছোট ছোট কাজগুলো করে। বড় কাজ তা নয়। এই ছোট কাজগুলো যদি করা যায়, বিশেষ করে ড্রেসিংরুমে এবং ড্রেসিংরুমের বাইরে কীভাবে চিন্তা করবে, সেই চিন্তার জায়গাটা যদি আরও পরিষ্কার করে ধারণা দেওয়া যায়, তাদের আরও ভালো ভবিষ্যৎ সামনে আছে।'
নতুন এই কাজে নিজের চ্যালেঞ্জ দেখছেন সালাউদ্দিন, 'অনেক দিন ধরেই শুনছি বোর্ড দেশি কোচদের একটা পস্ন্যাটফর্ম করে দেবে। সেই জায়গায় আমি যদি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যত দিনের জন্যই হোক, আমার দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। পরবর্তী সময়ে যেসব দেশি কোচ আসবে বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে। সেই সঙ্গে কোচের নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আমরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারি। আমার মনে হয় এই বিশ্বাসটা কারও না কারও নেওয়া উচিত ছিল। সেই বিশ্বাসটা যদি আমি রাখতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় পথ খোলা হয়ে যাবে। একজন কোচ হিসেবে কোচ-সমাজে পথ দেখানোর একটা বড় দায়িত্ব আমার পড়ে গেছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।'
জাতীয় দলের কোচ হচ্ছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এটা অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে গেল সপ্তাহে এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তার কোচ হওয়ার পেছনে বিসিবি সভপতি ফারুক আহমেদের অবদানের কথা জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, 'বেশ কিছুদিন ধরেই আসলে কথা হচ্ছিল। আমার এই কাজটা করার পেছনে ফারুক ভাইয়ের অবদান অনেক বেশি। তিনি আমাকে অনেকবার ডেকেছেন, কথা বলেছেন, বুঝিয়েছেন যেন, কেন আমাদের স্থানীয় কোচদের দরকার বাংলাদেশ দলে।'
'আমারও যে ইচ্ছে ছিল না, তা নয়। তবে অনেক কারণেই আসতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছে, এখনই হয়তো সেরা সময়, যেটা দিয়ে বাংলাদেশকে আবারও হয়তো সার্ভিস দিতে পারব। আমার ইচ্ছে আছে, এত বছরের যে কোচিং অভিজ্ঞতা, এটা যেন আরও বড় পরিসরে কাজে লাগাতে পারি। দেশের যদি কিছুটা উপকারও হয়, কোচিং ক্যারিয়ারের শেষে দিকে আমার নিজেরও হয়তো তা ভালো লাগবে।'-যোগ করেন তিনি।
নতুন এই কাজে নিজের চ্যালেঞ্জ দেখছেন সালাউদ্দিন, 'অনেক দিন ধরেই শুনছি বোর্ড দেশি কোচদের একটা পস্ন্যাটফর্ম করে দেবে। সেই জায়গায় আমি যদি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যত দিনের জন্যই হোক, আমার দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। পরবর্তী সময়ে যেসব দেশি কোচ আসবে বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে। সেই সঙ্গে কোচের নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আমরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারি।'
'আমার মনে হয় এই বিশ্বাস টা কারও না কারও নেওয়া উচিত ছিল। সেই বিশ্বাসটা যদি আমি রাখতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় পথ খোলা হয়ে যাবে। একজন কোচ হিসেবে কোচ-সমাজে পথ দেখানোর একটা বড় দায়িত্ব আমার পড়ে গেছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।'-যোগ করেন তিনি।