দেশের বিভিন্ন ভেনু্যতে চলছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এর লড়াই। কক্সবাজার, সিলেট, বগুড়ায় বিভাগীয় দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে লড়ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন সাজ্জাদুল হক রিপন এবং বরিশালের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা বিভাগ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩৭১ রানে অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২ রান করেছে ঢাকা। এ ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে দারুণ খেলে পারভেজ হোসেন ইমন ৯৫ রানে হয়েছেন রান আউট। তবে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাজ্জাদুল হক রিপন। ১৮৫ বল খেলে ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩৯ রান করেছেন তিনি। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল, এনামুল হক ও শুভাগত হোম।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এ ম্যাচের প্রথম দিন ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিনে সব উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে অলআউট হয়ে গেছে বরিশাল। এক বল খেলে কোনো রান করেনি রাজশাহী। বরিশালের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। ১২ চার ও একটি ছক্কায় ২০৫ বলে ১১৬ রান করেছেন তিনি। রাজশাহীর হয়ে চার উইকেট পেয়েছেন পেসার ওয়ালিদ। ১৪ ওভার ৪ বল হাত ঘুরিয়ে ৫১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। দুই উইকেট পেয়েছেন ওয়াসি সিদ্দিকী।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনার মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা মেট্রো। এ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। পরে ঢাকা মেট্রো ২১০ রানে অলআউট হলে তাদের ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান করেছে ঢাকা মেট্রো। তারা পিছিয়ে আছে ১৫৪ রানে। অমিত মজুমদার ও এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় খুলনা। বল হাতে তাদের হয়ে অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন শেখ মাহেদী হাসান ও আব্দুল হালিম। ২২ ওভার ৫ বল হাত ঘুরিয়ে ৬২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মাহেদী। ১২ ওভার ২৮ রান দিয়ে আব্দুল হালিম নিয়েছেন তিন উইকেট। ঢাকা মেট্রোর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নাঈম শেখ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের মুখোমুখি হয়েছে সিলেট। শুরুতে ব্যাট করে ১৫৮ রানে অলআউট হয় রংপুর। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট হয় সিলেটও। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ রান তুলতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে রংপুর। সিলেটের হয়ে এদিন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অমিত হাসান। ১০৪ বলে ৫৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া ২৮ রান করে আউট হন পিনাক ঘোষ ও তৌফিক খান তুষার। রংপুরের হয়ে তিন উইকেট করে নেন রবিউল হক ও আবু হাসেম। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও চাপে আছে রংপুর। দলটি হারিয়েছে
পাঁচ উইকেট।