আজকের যায়যায়দিন

নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার পর মূলত আলোচনার শুরু। কার কাঁধে যেতে পারে নেতৃত্বের ভার? এমন প্রশ্নও উঠেছে। মেহেদি হাসান মিরাজের নাম শোনা গেছে সবচেয়ে বেশি। তবে টি২০ সংস্করণে এসেছে তাওহিদ হৃদয়ের নাম। শনিবার দুবাইয়ের পথে রওনা দেওয়ার আগে মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হৃদয়। এ সময় নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান যার কাছে যাওয়া উচিত তাকেই যেন দেওয়া হয়।

অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তুত কি না, এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তার উত্তর ছিল এমন, 'আমি এ ব্যাপারটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাইছি না। সামনে যেহেতু আমাদের একটা খেলা আছে, এ ব্যাপারটাতেই মনোযোগ দিতে চাচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত দেবে। এটা আমার হাতে কিছু নেই। আমি মনে করি, এটা শুধু আমার বা এক-দুইজন দিয়ে হবে না। এটা বিসিবি বা যারা আছে দায়িত্বে, তারা ভালো জানবেন।'

অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে নিজের মতামতও ব্যক্ত করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার, 'আমার যেটা মনে হয়, দলের ভালোর জন্য যার কাছে (অধিনায়কত্ব) যাওয়া উচিত, তাকেই দেওয়া হোক। আর যার কাছেই যাবে,

তার জন্য শুভকামনা।'

আরব আমিরাতের শহর শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের জন্য প্রথম দফায় হৃদয়ের সঙ্গে মিরপুর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন রিশাদ হোসেনও। ৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর শারজাহতে তিন ম্যাচের সিরিজ হবে।

নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত কি না জানতে চাইলে এই তারকা ব্যাটার জানান, আপাতত এই সিরিজেই নজর দিতে চান, 'আমি এ ব্যাপারটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। সামনে যেহেতু আমাদের একটা খেলা আছে, এ ব্যাপারটাতেই মনোযোগ দিতে চাচ্ছি।'

বাংলাদেশ দল আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে আট মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরছে। এই সিরিজ দিয়ে আগামী ফেব্রম্নয়ারি মাসে পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আবহে ঢুকবে দল। সংস্করণটা ওয়ানডে বলেই দল হিসেবে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী হৃদয়। প্রস্তুতি নিয়ে হৃদয় বলেন, 'আশা করি, ভালোভাবে শুরু করতে পারব। বরাবরই এই সংস্করণে আমরা ভালো খেলে থাকি। এবারও অবশ্যই ভালোভাবে শুরু করতে চাই। আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, ভালো কিছু হবে ইনশাআলস্নাহ।'

অন্য দুই সংস্করণে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে হৃদয় বলেন, 'প্রত্যেক ক্রিকেটার এখানে অনেক পেশাদার। আমার মনে হয়, অতীত নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো ভালো। হতে পারে একটি ম্যাচ বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট। আমি আশা করি, সম্প্রতি আমাদের (ফল) কী হয়েছে বা কী করেছি, এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সামনের দিনটা আমরা কীভাবে শুরু করব, সেই দিনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি বর্তমানে থাকতে চাই।'