ফাইনালের মঞ্চে জ্বলে উঠলেন বিলাল সামি ও মোহাম্মদ ঘাজানফার। তাদের চমৎকার বোলিংয়ে ইনিংস বড় করতে পারল না শ্রীলংকা। পরে সেদিকুলস্নাহ আতালের অপরাজিত ফিফটি ও বাকিদের অবদানে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো আফগানিস্তান। টি২০ সংস্করণের এই প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রোববার রাতে শ্রীলংকা 'এ' দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান 'এ' দল।
প্রথমবারের মতো এই শিরোপা ঘরে তুলল আফগানরা। তৃতীয় শিরোপা জয়ের দুয়ারে গিয়েও হতাশা নিয়ে ফিরতে হলো লংকানদের। অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল শ্রীলংকা। কিন্তু শেষ ধাপে এসে খেই হারিয়ে ফেলল তারা। ঘাজানফার ও বিলালের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৩৩ রান করতে পারে সেহান আরাচিগের সৌজন্যে। ৬ চারে ৪৭ বলে ৬৪ রান করেন তিনি।
পেসার বিলাল ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। তবে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে দুই শিকার ধরে ফাইনালের সেরা হন অফ স্পিনার ঘাজানফার। রান তাড়ায় শুরুতে নেমে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাদিকুলস্নাহ। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ৭ বল বাকি থাকতে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় আফগানরা। ওমানে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলংকা শিবিরে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন বিলাল। পরের তিন ওভারে তিনি ও নুয়ানিদু ফার্নান্দো মিলে বিদায় করেন আরও তিন ব্যাটসম্যানকে। লংকানদের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।
পাওয়ার পেস্নতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান করতে পারে শ্রীলংকা। ভীষণ চাপেপড়া দলকে টানেন আরাচিগে। পাভান রাত্নায়েকের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। পাভান বিদায় নেন ২০ রান করে। নিমেশ ভিমুকথির সঙ্গে আরাচিগের ৪২ রানের জুটিতে ১০০ ছাড়ায় শ্রীলংকার রান। একটি করে ছক্কা-চারে ২৩ রান করেন নিমেশ। ৪০ বলে ফিফটি করা আরাচিগেকে শেষ পর্যন্ত আউট করতে পারেনি আফগানিস্তান।