'ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেই সব কিছুর সমাধান হয়ে যায়! চিন্তা করছি, প্রতিদিন একটা করে আমিও স্ট্যাটাস দেব'- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সাকিব আল হাসানের বিষয় নিয়ে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
এমন মন্তব্যের পরেই শান্তকে নিয়ে চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব হয় তার সমালোচনায়। জুলাই-আগস্টে অভু্যত্থানে ফেসবুক কতটা ভূমিকা রেখেছে, সেটি কারও অজানা নয়। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকে। কেবল তা-ই নয়, ব্যাটিং দৈন্যতা নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের জানান, ব্যাটিং জ্ঞানটা সাংবাদিকদের চেয়ে তার বেশি আছে। কখন কোথায় কোন শট খেলতে হবে তা জানা আছে শান্তর।
এমনিতেই রান খরায় ভুগছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অধিনায়ক হওয়ার পর পারফরম্যান্সের গ্রাফ যেন নিম্নমুখী। মাঠের খেলায় ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারছেন না শান্ত। সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর যোগ্যতা নিয়ে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেন। যেটি তাকে প্রবল চাপে ফেলে দেয়। এরপরই আসে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত।
মাঠের অফফর্ম আর বাইরে প্রবল সমালোচনার মাঝে শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানান। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক পরিচালকের মন্তব্য, 'সে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করেছে নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে। আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি। সে চিঠি দেওয়ার পর স্পষ্ট হবে বিষয়টি আসলে কী। সে এক সংস্করণে ছাড়তে চায় নাকি তিন সংস্করণেই; সেটি চিঠি পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।'
বিসিবির আরেক পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে অতিরিক্ত চাপই শান্তর না বলার কারণ, 'তার মতো একজন খেলোয়াড় আমাদেরই কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারছে না। আমাদের মতো দেশে অধিনায়ক হওয়া মানে সবসময় চাপে থাকতে হবে, তাকে নিয়ে আমরা যে পরিমাণ সমালোচনা করি, যেভাবে সমালোচনা করি, তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভালো না খেলার কারণও হয়তো সেটা।'
গত নয় মাস ধরে তিন সংস্করণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে কোন এক সংস্করণ ছাড়বেন নাকি সব সংস্করণই ছাড়বেন এটি এখনো নিশ্চিত নয়। চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সাকিব আল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।