ভুটানকে হারিয়ে দোয়া চাইলেন হ্যাটট্রিক গার্ল তহুরা

আমার অনেক ভালো লাগছে। আমাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের অনেক চেষ্টা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে উঠতে পেরেছি, আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া। আমার সতীর্থ যারা আছে, তাদের ধন্যবাদ। কোচিং স্টাফ যারা আছেন সবাইকে ধন্যবাদ। আমাকে সবাই সহায়তা করেছেন -তহুরা খাতুন

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
তহুরা খাতুন
ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে সাফের ফাইনালে যাওয়া বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা তখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে মাঠ ছাড়ছিলেন। খানিকপর ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হিসেবে অবধারিতভাবেই ঘোষিত হয় তহুরা খাতুনের নাম। ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোলের পর ভুটানের সঙ্গে হ্যাটট্রিক পাওয়া এই ফরোয়ার্ড টানা দ্বিতীয়বার সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি হাতে নিলেন। নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বাঘিনীদের নাম্বার টেন বলেন, 'আমার অনেক ভালো লাগছে। আমাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের অনেক চেষ্টা ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে উঠতে পেরেছি, আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া। আমার সতীর্থ যারা আছে, তাদেরকে ধন্যবাদ। কোচিং স্টাফ যারা আছেন সবাইকে ধন্যবাদ। আমাকে সবাই সহায়তা করেছেন।' দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফাইনালের আগে বিশেষ বার্তা ও নিজের চাওয়ার বিষয়ে জানান ময়মনসিংহের কলসিন্দুর থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটাই চাওয়া, আমরা ফাইনালে উঠেছি। আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। আপনারা দোয়া করবেন এতটুকুই শুধু চাওয়া।' মাঠে সার্বক্ষণিক তৎপর ও সুযোগসন্ধানী তহুরা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সেরার ট্রফিটি প্রয়াত বন্ধু ও ফুটবলার সাবিনা ইয়াসমিনকে উৎসর্গ করেছিলেন। গতকাল তিনি দুইজন কোচকে সেটি উৎসর্গের বিষয়টি প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে পরিবার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অবদানকেও স্মরণ করেন, 'আমাদের যে সাবেক কোচ (গোলাম রব্বানী) ছোটন স্যার ছিল উনাকে এবং আমি যে স্থান (কলসিন্দুর) থেকে আজকের অবস্থানে উঠে এসেছি সেই মফিজ স্যার। আমার দুই প্রিয় কোচের নামে এই ট্রফিটা উৎসর্গ করছি।' 'আমার মা-বাবা বাংলাদেশে যারা আছে, উনাদের দয়ায় হয়তো বা আমরা আজকে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যদি বাংলাদেশের মানুষ সমর্থন না করত... আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আমাদের দীর্ঘদিন ক্যাম্পে রেখেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের এতদিন ক্যাম্পে রেখেছে বলেই আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।' প্রতিপক্ষকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দলের গোলমেশিন হয়ে ওঠা তহুরার নামের পাশে রয়েছে একটি অ্যাসিস্ট। তার পাসে ডি বক্সের সামনে থেকে বাঁ দিকে থাকা ঋতুপর্ণা চাকমা বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে ঋকুপর্ণা নিশানাভেদ করেন। শিউলি আজমের ক্রসে দারুণ ভারসাম্যে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে জড়িয়ে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পান তহুরা। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের লম্বা পাসে বল নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের উঁচু শটে অনায়াসেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জোড়া গোলের দেখা পান। বিরতির পর হ্যাটট্রিকের দেখা পান। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা সাবিনার কাছ থেকে বল নেন মনিকা। তিনি বাঁ পায়ে পোস্টের সামনে থাকা তহুরার দিকে বল ঠেলে দেন। টাইগ্রেস নাম্বার টেন বাঁ পায়ের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে কাজের কাজটা সারেন।