রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাফুফের সাধারণ সভা। ১৩৩ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সাধারণ সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি ২০২৫ সালের প্রস্তাবিত ৬১ কোটি টাকার বাজেট।
এ প্রসঙ্গে বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেন, 'এজিএমে গত বছরের রিপোর্ট পেশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক। নতুন বছরের প্রস্তাবিত বাজেটও দেওয়া হয়েছিল। তবে অধিকাংশ ডেলিগেটের দাবি ছিল, যেহেতু নতুন কমিটি আসছে, নতুন কমিটির সামনেই যেন সেটা পেশ করা হয়। তো সেটা আগামীতে উপস্থাপন করা হবে।'
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছেন ইমরুল হাসান। তাই শুরুতেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে নতুন কমিটিকে এজিএম বা ইজিএম করে বাজেট পাস করতে হবে।
বাজেট পাস না হওয়ার ক্ষেত্রে বাফুফের ফিন্যান্স বিভাগের দায়ের প্রশ্নে ইমরুল বলেন, আসলে বিষয়টি এ রকম নয়। আমাদের ডেলিগেটরা এটি নতুন কমিটির কাছে পাস করাতে চেয়েছে।
৬১ কোটি টাকার এই বাজেটে আয় দেখানো হয়েছে ৪৭ কোটি। আর ১৪ কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট। বাজেট পাস না হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুলস্নাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান বলেন, 'বাজেটে জেলা ফুটবল নিয়ে কিছু নেই। আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়েও অনেক আপত্তি রয়েছে।'
শরীয়তপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক চঞ্চল সিলেটে বাফুফে একাডেমির জন্য ফিফার ৭ লাখ ডলারের হিসাবের বিষয়টি পুনরায় উত্থাপন করেন।
এজিএমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বিগত সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো কর্মকর্তা বাফুফের সভায় বক্তব্য রাখেননি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব ফিফার স্পিরিটকে সম্মান রেখেই বাফুফের বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার তাগিদের পাশাপাশি বাফুফের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও জোর দেন। সচিবের এমন বক্তব্য স্বাগত জানিয়েছেন ইমরুল।
তিনি বলেন, 'সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আমাদের জন্য উদ্দীপনামূলক। আমরাও সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে ফুটবল পরিচালনা করতে চাই। অন্যান্য এজিএমের চেয়ে এই এজিএমের বিশেষত্ব ছিল এটা।'