নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বেশ ভালোভাবে টিকে আছে বাংলাদেশ। গ্রম্নপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে তারা। শেষ চারে প্রতিপক্ষ হিসেবে কাকে পাচ্ছে, সেটা জানার অপেক্ষায় ছিল সাবিনারা। বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত হয়েছে সেমিফাইনালের লাইনআপ। গ্রম্নপের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপকে ১৩ গোল দেওয়া ভুটান বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াচ্ছে। আগামীকাল (২৭ অক্টোবর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে দুপুর পৌনে ২টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভুটান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খেলবে ভারত ও নেপাল। ৩০ অক্টোবর হবে শিরোপার লড়াই।
'বি' গ্রম্নপে বৃহস্পতিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভুটান ১৩-০ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। ডেকি লাজম হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করেন। আরেক গ্রম্নপ ম্যাচে নেপাল ৬-০ গোলে জয় পায় শ্রীলংকার বিপক্ষে। সমান ৭ পয়েন্ট হলেও গোলব্যবধান গড়ে দিয়েছে দুই দলের পার্থক্য। নেপাল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন, তারা খেলবে 'এ' গ্রম্নপের রানার্সআপ ভারতের সঙ্গে। আর ভুটান রানার্সআপ হওয়ায় তারা পাচ্ছে বাংলাদেশকে। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আঙিনায় দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ের স্মৃতি ভুটানের জন্য ভীষণ হতাশার, ৮-০ গোলের হার। গত জুলাইয়ে দুই প্রীতি ম্যাচেও সাবিনা-সাগরিকাদের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। এমনকি সাফে কখনই বাংলাদেশকে হারাতে পারেননি ভুটান।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেছেন, 'সেমিফাইনালে যেই দল আসুক না কেন, আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল। তবে ম্যাচটি সহজ হবে না।'
অন্যদিকে ভুটান পুরনো সব হতাশা মুছে এবার ভিন্ন গল্প লেখতে চায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে না পারার বৃত্ত ভাঙতে আগামীকাল রোববার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নামবে ভুটান। অপরাজিত থেকে এই প্রথম সাফের গ্রম্নপ পর্ব পেরুতে পারা দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলে মনে করেন দলটির অধিনায়ক পেমা চোডেন তিসেরাং, 'গত কয়েক বছর ধরে মেয়েদের ফুটবলে আমাদের ফেডারেশনের বিনিয়োগের প্রতিফলন এটি। আমরা ফল পাচ্ছি এবং এই প্রথম আমরা গ্রম্নপ পর্ব পেরিয়েছি কোনো ম্যাচ না হেরে।'
তবে আবারও বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়াটা 'দুর্ভাগ্যজনক' মানছেন পেমা। ২৮ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার যদিও এবার ভিন্ন গল্প লিখতে চান, তবে বাংলাদেশকে সমীহও করছেন ভীষণভাবে, '(ভিন্ন গল্প লেখার) সম্ভাবনা আছে। আমরা জুলাইয়ের উইন্ডোতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। তাদের কাছ থেকে ওই দুই ম্যাচে অনেক কিছু শিখেছি। আমি মনে করি, আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুটানে যে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম, ওই দুই ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের আমরা গ্যালারিতে পেয়েছিলাম, যেটা আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতাও তাদের বিপক্ষে আমাদের সাহায্য করেছিল।'
'বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। অবশ্যই আমাদের তাদের বিপক্ষে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারতকে হারিয়ে এসেছে তারা, ভারত সহজ প্রতিপক্ষ নয়। কোচও আমাদের বলেছেন, তোমরা যদি সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে চাও, তাহলে ভারত, বাংলাদেশ, স্বাগতিক নেপালের মতো দলকে হারাতে হবে।' যোগ করেন ভুটান অধিনায়ক।