নারী সাফ-চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমি-ফাইনালে আগামীকাল রোববার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। গতবার সেরা চারের মঞ্চেই তাদেরকে ৮-০ গোলের মালা পরিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর আগের সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের আলো ছড়িয়েছিলেন সাবিনা খাতুন। একবার করে জালের দেখা পেয়েছিলেন সিরাত জাহান স্বপ্না, কৃষ্ণা রানী সরকার, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা, আর বদলি নেমে লক্ষ্যভেদের আনন্দে ডানা মেলেছিলেন তহুরা। সুযোগ পেলে আবারও এই ফরোয়ার্ড ভাসতে চান গোলের আনন্দে।
ভারত ম্যাচের পর একদিন বিশ্রাম ও রিকভারি সেশন শেষে শুক্রবার প্রথম প্রস্তুতিতে নামে বাংলাদেশ। অনুশীলন শেষে তহুরা খাতুন জানালেন, ভুটান ম্যাচ ভালোভাবেই আছে তাদের ভাবনায়,'যদি আমি শুরু থেকে বা পরেও নামি, আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করব, গতবার বদলি নেমে গোল করেছিলাম, এবার শুরু থেকে নামলে শুরু থেকেই সর্বোচ্চটুকু দিয়ে গোল করার চেষ্টা করব। যেহেতু আমরা উপরে (আক্রমণভাগে) খেলব, আমাদের লক্ষ্যই থাকে গোল করার।'
এবারের আসরে গ্রম্নপ পর্বে সবচেয়ে বেশি গোল দেওয়া দলগুলোর একটি ভুটান, ১৭ গোল দিয়ে তারা হজম করেছে মাত্র একটি। নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর, শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪-১ গোলে জেতে ভুটান। আর সবশেষ ম্যাচে মালদ্বীপকে তারা উড়িয়ে দেয় ১৩-০ ব্যবধানে। ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল করা তহুরা তাই ভুটানকে নিয়ে সতর্ক, 'ভুটান আগের থেকে উন্নতি করেছে, এটা আপনারাও দেখেছেন, ওদের খেলা দেখেছেন। ওরা নেপালের সাথে ড্র করেছে, মালদ্বীপকে ১৩ গোল দিয়েছে, এমনি এমনি তো আর সেমি-ফাইনালে ওঠেনি ভুটান।'
নিজেদের মুকুট ধরে রাখার অভিযান নিয়ে অবশ্য দারুণ আশাবাদী তহুরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্রয়ের পর শঙ্কার দোলুনিটুকু ভারতকে হারিয়ে দূর হয়েছে। ২১ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ডের মনে হচ্ছে ভুটান বাধা পেরুতে তাদের খেলতে হবে স্বাভাবিক খেলা,'এখন ভুটানের সাথে আমাদের যে ম্যাচ, আমরা এটা নিয়েই ভাবছি। আমাদের যে সেরা খেলাটা, আমরা যেটা খেলতে পারি, আমাদের থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, যাতে ম্যাচটা বের করে আনতে পারি। (জয় নিয়ে) খুবই আশাবাদী বলতে, আমরা যদি আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি, আর আমরা ওদের দুর্বল ভাবছি না। কেননা, ওরাও আমাদের ছাড় দিবে না, ওরা চাইবে ম্যাচ ড্র করে টাইব্রেকারে নেওয়া বা রক্ষণাত্মক খেলার, তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে স্বাভাবিক খেলা খেলার, যেটা আমরা সবসময় খেলে থাকি। সেটা যদি খেলতে পারি, তাহলে বের হয়ে যাবো।'